Dhaka ০৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় পরিত্যাক্ত প্লাস্টিকেই যুবকের ভাগ্য বদল

অভাব-অনটনে পড়াশোনা করতে পারেনি, মাত্র ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ থাকে। চাকুরীর পিছনে ঘুরতে থাকে কিন্তু আশানুরূপ চাকুরী মিলেনি। পরবর্তীতে ধানের ব্যবসা শুরু করেন দুলাল। সে ব্যবসায় তেমন লাভবান না হওয়ায় ২০১২ সালে শুরু করেন প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যের ব্যবসা। দুইটি মেশিন ও ৫/৬জন কর্মচারী নিয়ে আল আবরার ট্রেডার্স নামে এ ফ্যাক্টরীতে আনুষ্ঠানিক যাত্রায় ভাগ্য বদলে যেতে থাকে দুলালের। বৃদ্ধি পেতে থাকে ব্যবসার পরিধি, বাড়তে থাকে মেশিন, কর্মচারী, হকার এবং খুচরা বিক্রেতাদের দাদন। ছোট পরিসরের ব্যবসাটি বিশালকার ধারণ করে।

বলছি ভোলা সদর উপজেলা শিবপুর চাউলতা তলা এলাকার আল আবরার ট্রেডার্সের পরিচালক মোঃ দুলাল মিয়ার কথা। যিনি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যেকে পুনরায় বাজার জাত করেন। তৈরি করেন প্লাস্টিকের সুতা। যা ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। ভাগ্য বদলে যাওয়া দুলাল ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বদুর বাড়ীর চান মিয়ার ছেলে।

তরুণ উদ্যোক্তা দুলাল বলেন, আমি প্রথমে ধানের ব্যবসা করতাম, পরবর্তীতে ব্যবসাতে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা শুরু করি। ধার-কর্জ করে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করি। প্রথমে দুইটি মেশিন এবং ৫/৬জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হলেও আজ সকলের দোয়ায় আমার ৪০/৪৫ জনের মত কাজ করে। আমার দাদন আছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা এবং মেশিন এখন ৮টি। প্রতি মাসে প্রায় ৩লক্ষ টাকা স্টাফের বেতন দেয় বলেও জানান দুলাল।

দুলাল আরো জানান, আমার মেশিনে সুতা হয় যা ভোলাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। পুরানো পণ্যেতে পুনরায় রং এবং প্লাস্টিকের নতুন পণ্যে তৈরি হয়। তিনি বলেন, এখন তো অনেক শিক্ষিত যুবকরা চাকুরীর পিছনে ঘুরে, এ চাকুরীর পিছনে না ঘুরে ছোট-পরিসরে ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হলে একদিন চাকুরী দিবে অন্যকে। যেমনটা আমি দিয়েছি বা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।

শ্রমিক নুরু নাহার বলেন, আমি আজ কয়েক বছর এখানে চাকুরী করি। আমার পরিবার এ আয়ের উপর নির্ভরশীল। বাড়ীর পাশে এ প্রতিষ্ঠান থাকায় আলহামদুলিল্লাহ চাকুরী করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল আছি। অপর শ্রমিক হৃদয় আহমেদ বলেন, আমার বাড়ী নোয়াখালী, আমি এখানে চাকুরী করি। বেতন ১৮ হাজার টাকা। খুব ভাল আছি এবং নিয়মিত বেতন পাচ্ছি। আমি এ প্রতিষ্ঠানের আরো উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

ভোলায় পরিত্যাক্ত প্লাস্টিকেই যুবকের ভাগ্য বদল

Update Time : ০১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

অভাব-অনটনে পড়াশোনা করতে পারেনি, মাত্র ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ থাকে। চাকুরীর পিছনে ঘুরতে থাকে কিন্তু আশানুরূপ চাকুরী মিলেনি। পরবর্তীতে ধানের ব্যবসা শুরু করেন দুলাল। সে ব্যবসায় তেমন লাভবান না হওয়ায় ২০১২ সালে শুরু করেন প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যের ব্যবসা। দুইটি মেশিন ও ৫/৬জন কর্মচারী নিয়ে আল আবরার ট্রেডার্স নামে এ ফ্যাক্টরীতে আনুষ্ঠানিক যাত্রায় ভাগ্য বদলে যেতে থাকে দুলালের। বৃদ্ধি পেতে থাকে ব্যবসার পরিধি, বাড়তে থাকে মেশিন, কর্মচারী, হকার এবং খুচরা বিক্রেতাদের দাদন। ছোট পরিসরের ব্যবসাটি বিশালকার ধারণ করে।

বলছি ভোলা সদর উপজেলা শিবপুর চাউলতা তলা এলাকার আল আবরার ট্রেডার্সের পরিচালক মোঃ দুলাল মিয়ার কথা। যিনি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যেকে পুনরায় বাজার জাত করেন। তৈরি করেন প্লাস্টিকের সুতা। যা ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। ভাগ্য বদলে যাওয়া দুলাল ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বদুর বাড়ীর চান মিয়ার ছেলে।

তরুণ উদ্যোক্তা দুলাল বলেন, আমি প্রথমে ধানের ব্যবসা করতাম, পরবর্তীতে ব্যবসাতে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা শুরু করি। ধার-কর্জ করে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করি। প্রথমে দুইটি মেশিন এবং ৫/৬জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হলেও আজ সকলের দোয়ায় আমার ৪০/৪৫ জনের মত কাজ করে। আমার দাদন আছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা এবং মেশিন এখন ৮টি। প্রতি মাসে প্রায় ৩লক্ষ টাকা স্টাফের বেতন দেয় বলেও জানান দুলাল।

দুলাল আরো জানান, আমার মেশিনে সুতা হয় যা ভোলাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। পুরানো পণ্যেতে পুনরায় রং এবং প্লাস্টিকের নতুন পণ্যে তৈরি হয়। তিনি বলেন, এখন তো অনেক শিক্ষিত যুবকরা চাকুরীর পিছনে ঘুরে, এ চাকুরীর পিছনে না ঘুরে ছোট-পরিসরে ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হলে একদিন চাকুরী দিবে অন্যকে। যেমনটা আমি দিয়েছি বা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।

শ্রমিক নুরু নাহার বলেন, আমি আজ কয়েক বছর এখানে চাকুরী করি। আমার পরিবার এ আয়ের উপর নির্ভরশীল। বাড়ীর পাশে এ প্রতিষ্ঠান থাকায় আলহামদুলিল্লাহ চাকুরী করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল আছি। অপর শ্রমিক হৃদয় আহমেদ বলেন, আমার বাড়ী নোয়াখালী, আমি এখানে চাকুরী করি। বেতন ১৮ হাজার টাকা। খুব ভাল আছি এবং নিয়মিত বেতন পাচ্ছি। আমি এ প্রতিষ্ঠানের আরো উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।