তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ জনবহুল এনায়েতপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ১৩ লাখ মানুষের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি নানা সময়ে যানযট ও মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অঞ্চলিক সড়কটি মহাসড়ক করার জন্য ডিপিপি করে সড়কটি ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার ঘোষণায় বর্তমানে নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে না। সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল জানান, এ প্রকল্প অনুমোদনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে দীর্ঘদিনের চাওয়া তাঁত শিল্প এলাকার ফোর লেন প্রকল্পটি যেন শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল।
এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল আরও জানান, আমরা ৫শ কোটি টাকার এবং পাবনা অফিস থেকে ৫শ কোটি টাকার প্রকল্প করে দিয়েছি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য। কিন্তু বর্তমানে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছাড়া বড় কোনো প্রকল্প এখন নেওয়া হবে না।
জানা যায়,
ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসার ও চিকিৎসা সেবা এবং পাবনার সঙ্গে সরাসরি উন্নত যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য গত চার মাস আগে সায়দাবাদ- এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, বেড়া হয়ে পাবনা অঞ্চলিক সড়কটি মহাসড়ক করার জন্য ডিপিপি করে ৭৬ কিলোমিটার সড়কটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য যে, সরকার হাটিকুমরুল – বনপাড়া মহাসড়কের মডেল অনুসরণ করে, সয়দাবাদ হতে এনায়েতপুর (খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে) দ্রুত যাতায়াতের জন্য এবং তাঁত সমৃদ্ধ যানবহনের চলাচলের সুবিধার জন্য ছোট গাড়ির জন্য পৃথক লেন গত ২০১৪ সালে
কাজটি শেষ হয়। কিন্তু এর পর এ রাস্তায় কোন সংস্কার হয়নি। ফলে ৩২ কোটি টাকার রাস্তায় ৪৬ টি খড়ের পাল্লা এবং রাস্তার মাঝে মাঝেই গরু বাধাঁর ব্যবস্থা আছে, রাস্তার ঘাসগুলো এতোই বড় হয়েছে যে, রাস্তার পিচ ঢালাই কার্পেটিং রাস্তা কোথাও কোথাও দেখাই যায় না। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায়, বৃষ্টির পানি গড়ে রাস্তার মাঝে মাঝেই গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙে গেছে। আবার কোথাও রাস্তার ওপর থেকে পিচ উঠে গেছে। ফলে মূল রাস্তায় ছোট গাড়ি চলাচলের কারণে মাঝে মধ্যেই দূর্ঘটনা ঘটছে।