রাজশাহীর তানোরে দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ১০ বিঘা জমির খড়ের পালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন গ্রামবাসীরা। রবিবার ভোর রাতে তানোর পৌর এলাকার আমশো তাতিয়াল পাড়া গ্রামে ঘটে আগুন লাগার ঘটনাটি। গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই খড়ের পালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে কৃষক আনোয়ারের নিম্নে হলেও ৬০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। একের পর এক ফসল হানি পালায় আগুন দেয়ার ঘটনায় চরম আতঙে কৃষকরা। অতচ পুলিশ প্রশাসন একেবারেই নিরব অবস্থায় আছে। উপজেলা জুড়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে।
জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ও রবিবার ভোর রাতে কে বা কারা পূর্ব শক্রতার জের ধরে পৌর এলাকার আমশো তাতিয়াল পাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ারের ১০ বিঘা জমির খড়ের পালায় আগুন দেয়। আগুন লাগার পর পাড়ার মুসল্লীরা ফজরের নামাজ পড়তে বের হলে আগুন দেখতে পেয়ে কৃষক আনোয়ার কে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পাড়ার লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু না পেরে ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেয়া হলে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
কৃষক আনোয়ারের শ্যালক কাউসার জানান, আগুন লাগার ঘটনাটি জানার পর ফায়ার সার্ভিসের মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে তারা রিসিভ করেননি। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে আগুন লাগার ঘটনাটি অবহিত করা হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমের পুরো জমির খড় পালা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু কে বা কারা আগুন দিয়ে পুরো খড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার কারো সাথে কোন দ্বন্দ্ব ফাসাদ নেই। কিন্তু কেনই বা আমার খড়ের পালায় আগুন দিল বুঝতে পারছিনা। বর্তমান বাজার অনুযায়ী নিম্নে হলেও ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে। কিছু খড় থাকলেও সেগুলো দিয়ে কোন কাজ হবে না। জালানি ছাড়া কোন কাজে আসবে না।
গ্রামের লোকজন জানান, একজন আরেক জনের সাথে দ্বন্দ্ব ফাসাদ থাকতেই পারে। কিন্তু আগুন দিয়ে খড় পুড়িয়ে দেয়া কোন বিবেক বান মানুষ করতে পারেনা।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে অজানা। তবে ভুক্তভোগী কৃষক অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।