দেশের উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল সীমান্ত ঘেষা জেলার নাম কুড়িগ্রাম। জেলার পুর্বাঞ্চল আসাম সীমান্তঘেষা উপজেলার নাম রৌমারী। এ অঞ্চলটি মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ঘোষনায় বলা হয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে রৌমারী উপজেলা মাদকে দ্বীতিয় রুট। এই সড়কেই যাচ্ছে হরহামেসাই মরণ ব্যাধি মাদকের চালান। এসব মাদকের চালান পুলিশ বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি জমাচ্ছেন মাদক স¤্রাটেরা।
উপজেলার কিছু সচেতন নাগরিকের চোখে পড়ছে এই মাদকের চালান। জনসাধারণের সহযোগিতায় আটককৃত মাদক পুলিশ ও বিজিবি মাদকের চালানসহ ব্যবসায়ীকে জেলহাজতে প্রেরণ করতে সক্ষম হচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, টানা কয়েকদিন থেকে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী, ভুরঙ্গামারী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মাদক ব্যবসায়ীরা জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার পথে সিএনজি স্টান্ডে জনগনের হাতে আটক হচ্ছে। জানা গেছে, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার সময় যমুনা ব্রীজের চেক পোষ্টে এসব মাদক আটক করায় মনে করা হচ্ছে রৌমারী থেকে জামালপুর টু ঢাকা নিরাপদ রুট।
এবিষয়ে পুলিশ ও বিজিবি বলেন, টানা কয়েকদিন থেকে স্থানীয় জনগনের সহযোগীতায় মাদকের চালান ধরতে সক্ষম হচ্ছে।
অদ্য মঙ্গলবারসহ গত ৩ দিনে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কের রৌমারী সিএনজি স্টেশন নামকস্থান থেকে প্রায় একই সময়ে প্রায় সাড়ে ৩২ কেজি গাঁজার চালান আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার পাঠানটারি গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে হাফেজী পড়–য়া ছাত্র জাকারিয়া ইসলাম জাকির (২০), ঢাকা মিরপুর ১২ পল্লবী থানার চানকার ট্যাক বস্তি এলাকার আমান উল্লাহ আমানের ভারাটিয়া বাসার শাহাজাদা হোসেনের মেয়ে মন্নি আকতার (৩০) নামের যুবতী, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মধ্যখাটামনি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৩), একই উপজেলার গছিডাঙ্গা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সুরুত আলী (৩৮)।
এবিষয়ে ৩৫ বিজিবি রৌমারী সদর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল হাই ক্যাম্প বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে রৌমারী সিএনজি স্টান্ড থেকে মাদকের চালান (গাঁজা) জামালপুর যাওয়ার পথে স্থানীয় জনগন ৮ কেজি গাঁজার ব্যাগ ও আসামী আটক রেখে খবর দিলে আমরা তা উদ্ধার করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়েছে।
রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ আসামী ও সাড়ে ৩২ কেজি গাঁজা আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যবসায়ীদেরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।