Dhaka ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিল্কভিটার গো-চারণ ভূমি দখল করে ঘাস চাষ, তদন্তে কমিটি গঠন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সরকারী গো-চারণ ভূমিতে ঘাস চাষের পরিবর্তে নিয়ম বহিৃভূত ভাবে শসার আবাদ করার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে মিল্কভিটা। কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনার তদন্তে ২১ ডিসেম্বর কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. মো: ছাইফুল ইসলাম।

মিল্কভিটার উপ-ব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. তরুন তপন বিন্দকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্যরা হলেন, সদস্য সচিব মিল্কভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক (সমিতি-বাথান) ইকবাল হোসেন, সদস্য মিল্কভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. এনামুল কবির, জুনিয়র অফিসার (সমিতি) ছানোয়ার হোসেন ও সমিতির সংগঠক খ. ম. আমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাঘাবাড়ীতে অবস্থিত  মিল্কভিটার আওতায় ১০৬৮. ১৪ একর গো-চারণ ভুমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারী ভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালন পালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা। অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহিৃভূতভাবে সাব বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা শসা চাষ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শসা চাষীরা লাভবান হলেও গো-চারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গো-খামারীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের বীজ বিতরণ

মিল্কভিটার গো-চারণ ভূমি দখল করে ঘাস চাষ, তদন্তে কমিটি গঠন

Update Time : ০৬:৩২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সরকারী গো-চারণ ভূমিতে ঘাস চাষের পরিবর্তে নিয়ম বহিৃভূত ভাবে শসার আবাদ করার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে মিল্কভিটা। কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনার তদন্তে ২১ ডিসেম্বর কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. মো: ছাইফুল ইসলাম।

মিল্কভিটার উপ-ব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. তরুন তপন বিন্দকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্যরা হলেন, সদস্য সচিব মিল্কভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক (সমিতি-বাথান) ইকবাল হোসেন, সদস্য মিল্কভিটার সহকারী ব্যবস্থাপক (সমিতি) ডা. এনামুল কবির, জুনিয়র অফিসার (সমিতি) ছানোয়ার হোসেন ও সমিতির সংগঠক খ. ম. আমিনুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাঘাবাড়ীতে অবস্থিত  মিল্কভিটার আওতায় ১০৬৮. ১৪ একর গো-চারণ ভুমি রয়েছে। এসব গো-চারণ ভূমি ৪৯টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে সরকারী ভাবে স্বল্প মূল্যে বাৎসরিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই গো-চারণ ভূমি গবাদি পশুর লালন পালন এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করার কথা। অথচ স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি এবং মিল্কভিটার কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু ও হাড়নি এলাকায় প্রায় ১৫০ বিঘা জমি নিয়ম বহিৃভূতভাবে সাব বরাদ্দ নিয়ে কৃষকরা শসা চাষ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শসা চাষীরা লাভবান হলেও গো-চারণ ভূমি কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গো-খামারীরা।