Dhaka ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তারিখ চূড়ান্ত

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ও যাত্রার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। চিকিৎসক আল মামুন বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। যার মধ্যে রয়েছেন বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে। ৭৯ বছর বয়সি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অনেক আগে থেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তারিখ চূড়ান্ত

Update Time : ০৩:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ও যাত্রার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। চিকিৎসক আল মামুন বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। যার মধ্যে রয়েছেন বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে। ৭৯ বছর বয়সি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অনেক আগে থেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।