রাজশাহী জেলার সর্ব সাধারণ কৃষক বৃন্দুর ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন আলু চাষী একরাম আলী মোল্লা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সম্পাদক আব্দুল মতিন, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের নেতা কৃষক আজহার আলী, গোলাম মুর্তজা, আব্দুল মালেক মন্ডল, তোফাজ্জুল হোসেন তোফা, শামসুদ্দিন, আফজাল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর আলু চাষী আবু সাইদ বাবু, আব্দুল মান্নান, আলতাব হোসেন, লিমন হোসেন, ইমরান হোসেন, হাজী সালাউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত ২০২৪ সালে প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের জন্য ২৫৫ টাকা নির্ধারণ ছিল। চলতি মৌসুমে ৬৫/৭০ কেজির প্রতি বস্তার মূল্য নির্ধারণ করে ২৮৫ টাকা। সেই চুক্তিতে হিমাগার ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজার ও পরিচালক গণ স্বাক্ষর করেন। কিন্তু হঠাৎ করে হিমাগার মালিকগণ পূর্বের চুক্তিপত্র বাতিল করে আলুর প্রতি কেজি ভাড়া ৮ টাকা দাবি করে এবং ৮ টাকা করে নতুন ভাবে চুক্তিপত্র করার জন্য সকল কৃষক গণের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। পূর্বের চাইতে যা দ্বিগুণ হয়েছে। বক্তারা আরো হিমাগার মালিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা ৮ টাকা কেজি দরে কার সিদ্ধান্তে এই সিন্ডিকেট করেছেন তা আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে পরিবর্তন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙ্গা হবে।
সভা শেষে মাগরিব নামাজের পর ব্যানার নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ সংবলিত লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এঅভিযোগের অনুলিপি দেয়া হবে,, জেলা প্রশাসক,, ভোক্তাঅধিকার,, রাজশাহী,, ওসি ও কৃষি অফিসারের নিকট।। কৃষকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আলহাজ্ব সালাউদ্দিন। সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার আলু চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ প্রেরন করা হবে। সে মোতাবেক যে সিদ্ধান্ত আসবে আইন অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।