Dhaka ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্রাইয়ের ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের কাপড় বেচাকেনা

উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। ফলে উপজেলার ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়ে গেছে গরম কাপড়ের বেচাকেনাও।

ফুটপাটের দোকানে বেশিরভাগ ক্রেতাই নিন্মআয়ের মানুষ। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও খোলা আকাশের নিচের এই দোকানগুলো থেকে উষ্ণ কাপড় কিনে নিচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার দুই পাশে বসেছে শীতের নতুন ও পুরোনো কাপড়ের পসরা। এছাড়া পাড়া-মহল্লার অলি-গলি, স্কুলের সামনে ভ্যানগাড়ির ওপরও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

দোকান গুলোতে শশুসহ বিভিন্ন বয়সের শীতের বিভিন্ন রকম পোশাক রয়েছে। এর মধ্যে গেঞ্জি, উলের পোশাক, কোট ও জ্যাকেট বেশি বিক্রি হয়। এ ছাড়া নারীদের জন্য নানা রকম পোশাক রয়েছে। শোয়েটার কিংবা জ্যাকেট সর্বনিন্ম ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় ফুটপাতে।

বিকেল থেকে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ক্রেতারা ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। যদিও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করেন দোকানিরা।

বিক্রেতারা বলছেন, এসব দোকানের পোশাকের দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। ফলে মার্কেটের দোকানের চেয়ে এখন বেশিরভাগ ক্রেতা ঝুঁকছেন ফুটপাতের দোকানে। তারা এখানে দেখে-শুনে কম দামে নতুন ও পুরোনো কাপড় কিনতে পারেন।

যাত্রাবাড়ীর ফুটপাতের এক দোকানদার বলেন, পৌষ মাসের প্রথম দিকে বসে বসে সময় পার করেছি। এই কয়েকদিন শীত একটু বাড়ায় এখন মোটামুটি ব্যবসা ভালো হচ্ছে। জানি না শীত কতদিন থাকে। তবে কেনার চেয়ে ক্রেতারা কাপড় নাড়াচাড়া বেশি করেন। আর দামও বলে কেনার চেয়ে কম। কিছু বলার নেই। কারণ দশজন দেখবে একজন কিনবে। এটা ভেবেই ব্যবসা করছি।

ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা সেকান্দার আলী বলেন, শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়। মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরোনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, আর দেখতেও খুব ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। যে চাদর ও সোয়েটার আমি এখান থেকে চার শথ টাকা দিয়ে কিনেছি, সেটা মার্কেটের দোকানে গেলে হাজার-বার শথ টাকা লাগতো। গরিবের জন্য এই দোকানগুলো অনেক উপকারের।

ভ্যানে ফেরি করে শীতের কাপড় বিক্রি করা কয়েকজন দোকানদার বলেন, এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন রাস্তায় অলি-গলিতে বিক্রি করি। দাম কম হওয়ায় বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। শীত যত বাড়বে এই কাপড়ের চাহিদাও তত বাড়বে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

আত্রাইয়ের ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের কাপড় বেচাকেনা

Update Time : ০১:৫৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। ফলে উপজেলার ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়ে গেছে গরম কাপড়ের বেচাকেনাও।

ফুটপাটের দোকানে বেশিরভাগ ক্রেতাই নিন্মআয়ের মানুষ। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও খোলা আকাশের নিচের এই দোকানগুলো থেকে উষ্ণ কাপড় কিনে নিচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তার দুই পাশে বসেছে শীতের নতুন ও পুরোনো কাপড়ের পসরা। এছাড়া পাড়া-মহল্লার অলি-গলি, স্কুলের সামনে ভ্যানগাড়ির ওপরও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

দোকান গুলোতে শশুসহ বিভিন্ন বয়সের শীতের বিভিন্ন রকম পোশাক রয়েছে। এর মধ্যে গেঞ্জি, উলের পোশাক, কোট ও জ্যাকেট বেশি বিক্রি হয়। এ ছাড়া নারীদের জন্য নানা রকম পোশাক রয়েছে। শোয়েটার কিংবা জ্যাকেট সর্বনিন্ম ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় ফুটপাতে।

বিকেল থেকে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ক্রেতারা ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। যদিও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করেন দোকানিরা।

বিক্রেতারা বলছেন, এসব দোকানের পোশাকের দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। ফলে মার্কেটের দোকানের চেয়ে এখন বেশিরভাগ ক্রেতা ঝুঁকছেন ফুটপাতের দোকানে। তারা এখানে দেখে-শুনে কম দামে নতুন ও পুরোনো কাপড় কিনতে পারেন।

যাত্রাবাড়ীর ফুটপাতের এক দোকানদার বলেন, পৌষ মাসের প্রথম দিকে বসে বসে সময় পার করেছি। এই কয়েকদিন শীত একটু বাড়ায় এখন মোটামুটি ব্যবসা ভালো হচ্ছে। জানি না শীত কতদিন থাকে। তবে কেনার চেয়ে ক্রেতারা কাপড় নাড়াচাড়া বেশি করেন। আর দামও বলে কেনার চেয়ে কম। কিছু বলার নেই। কারণ দশজন দেখবে একজন কিনবে। এটা ভেবেই ব্যবসা করছি।

ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা সেকান্দার আলী বলেন, শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়। মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরোনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, আর দেখতেও খুব ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। যে চাদর ও সোয়েটার আমি এখান থেকে চার শথ টাকা দিয়ে কিনেছি, সেটা মার্কেটের দোকানে গেলে হাজার-বার শথ টাকা লাগতো। গরিবের জন্য এই দোকানগুলো অনেক উপকারের।

ভ্যানে ফেরি করে শীতের কাপড় বিক্রি করা কয়েকজন দোকানদার বলেন, এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন রাস্তায় অলি-গলিতে বিক্রি করি। দাম কম হওয়ায় বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। শীত যত বাড়বে এই কাপড়ের চাহিদাও তত বাড়বে।