পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর হাতে শবনম (৩৩) নামের এক গৃহবধূ হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর বেলা সারে ১১ টায় সৈয়দপুর শহরের নয়াবাজার এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন মৃতের লাশ উদ্ধার করে এবং ২৬ তারিখ মোবাইল টেকিংয়ের মাধ্যমে গাজীপুর জেলার টুংগি পশ্চিম এলাকা থেকে খুনি স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে।
পুলিশ ও স্হানীয়রা জানান,সৈয়দপুর ডাকবাংলো অভিসার্স ক্লাব সংলগ্ন মনতাজ আরমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন ফুচকা ব্যাবসায়ি। তিনি তার বিয়ের তথ্য গোপন রেখে দেড়মাস আগে তারাগন্জ পীরপাড়ার আব্দুর রহমানের মেয়ে শবনমকে বিয়ে করে।বিয়ের পর স্ত্রী শবনম তার মায়ের বাড়িতেই ছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে শহরের নয়াবাজার এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন তারা।২৩ ডিসেম্বর রাতে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।এতেই ২৪ ডিসেম্বর বেলা আনুমানিক ১১ টায় জাহাঙ্গীর স্ত্রী শবনমকে হত্যা করে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭ টায় পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর শবনমের মা স্হানীয় থানায় অভিযোগ দিলে সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারেন খুনি জাহাঙ্গীর গাজীপুর টুংগি পশ্চিম থানা এলাকায় ঘুরাঘুরি করছেন।খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার এস আই আব্দুল হামিদ,এ এস আই রেজাউল কন্সটেলেশন মোরশেদ সেখানে গিয়ে টুংগি পশ্চিম থানার সহযোগীতায় মোবাই টেকিংয়ের মাধ্যমে খুনি জাহাঙ্গীরকে আটক করতে সক্ষম হয়।২৭ ডিসেম্বর তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করার পর ২৮ ডিসেম্বর বেলা ২ টায় নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফইম উদ্দিন।