Dhaka ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরো ৩৪ রোহিঙ্গা 

ফিশিং বোটে সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফ অনুপ্রবেশ করেছেন নারী ও শিশুসহ ৩৪ জন রোহিঙ্গা।শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর শিলখালী নৌকাঘাটের দক্ষিণ পাশের ঝাউবন দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে আসা রোহিঙ্গাদের একজন কেফায়েত উল্লাহ জানান, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধে আরাকান আর্মির দখলে যাওয়া শহর ও গ্রামে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে সন্তানদের নিয়ে ফিশিং বোটে রওয়ানা দেন।

চার দিন পর বাংলাদেশে ঢুকতে পেরেছেন।তিনি আরও জানান, রাখাইনে খাবার সংকটসহ নানান সমস্যা তৈরি হয়েছে। কোনো যুবক দেখলে আরাকান আর্মি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো কোনো কাজ করতে পারছি না। আরাকান আর্মি যুদ্ধের অজুহাত দেখিয়ে ওখানে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে হামলা করছে। এ কারণে আমরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে অনুপ্রবেশের পর এসব রোহিঙ্গারা যে যার মতো করে পালিয়ে ক্যাম্পে ঢুকে গেছেন।টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি তারা জানেন না। জল ও স্থল সীমান্তের এ বিষয়টি নির্দিষ্ট সংস্থা দেখভাল করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরো ৩৪ রোহিঙ্গা 

Update Time : ০৭:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ফিশিং বোটে সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফ অনুপ্রবেশ করেছেন নারী ও শিশুসহ ৩৪ জন রোহিঙ্গা।শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর শিলখালী নৌকাঘাটের দক্ষিণ পাশের ঝাউবন দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে আসা রোহিঙ্গাদের একজন কেফায়েত উল্লাহ জানান, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধে আরাকান আর্মির দখলে যাওয়া শহর ও গ্রামে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে সন্তানদের নিয়ে ফিশিং বোটে রওয়ানা দেন।

চার দিন পর বাংলাদেশে ঢুকতে পেরেছেন।তিনি আরও জানান, রাখাইনে খাবার সংকটসহ নানান সমস্যা তৈরি হয়েছে। কোনো যুবক দেখলে আরাকান আর্মি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো কোনো কাজ করতে পারছি না। আরাকান আর্মি যুদ্ধের অজুহাত দেখিয়ে ওখানে থাকা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে হামলা করছে। এ কারণে আমরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে অনুপ্রবেশের পর এসব রোহিঙ্গারা যে যার মতো করে পালিয়ে ক্যাম্পে ঢুকে গেছেন।টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি তারা জানেন না। জল ও স্থল সীমান্তের এ বিষয়টি নির্দিষ্ট সংস্থা দেখভাল করে।