Dhaka ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ ছাড়াল ২১ বিলিয়ন ডলার

২১ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে।এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের ফলে রিজার্ভ কমলেও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ওপর ভিত্তি করে তা আবারও বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, রিজার্ভে বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো বেড়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর আকুর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের পাওনা বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর ফলে রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম-৬) নেমে যায়। গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে এখন তা ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

তবে বিপিএম-৬ ও নিজস্ব হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। সেটি হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। যেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসেবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। এ তথ‌্য শুধু আইএমএফকে দেয় কেন্দ্রীয় ব‌্যাংক। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণের মধ্যে প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে তৃতীয় হিসাবটি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুইবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সেসময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে রিজার্ভ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

রিজার্ভ ছাড়াল ২১ বিলিয়ন ডলার

Update Time : ০৯:১৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

২১ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে।এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের ফলে রিজার্ভ কমলেও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ওপর ভিত্তি করে তা আবারও বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে তা ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, রিজার্ভে বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো বেড়েছে। এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর আকুর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের পাওনা বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর ফলে রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম-৬) নেমে যায়। গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে এখন তা ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

তবে বিপিএম-৬ ও নিজস্ব হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। সেটি হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। যেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসেবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। এ তথ‌্য শুধু আইএমএফকে দেয় কেন্দ্রীয় ব‌্যাংক। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণের মধ্যে প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণসহ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল। এর বাইরে তৃতীয় হিসাবটি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুইবার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সেসময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে রিজার্ভ।