Dhaka ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা পছন্দের মেয়র রাফিকা অর্ধ শত কোটি টাকা নিয়ে পলাতক

শেখ হাসিনা তুষ্ট সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাফিকা আকতার জাহান বেবী পৌরসভার কোন প্রকার উন্নয়ন না করে প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। আওয়ামীলীগের নেত্রী ও মেয়রের দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি ও স্বেচারিতা চালিয়ে যান তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হওযার পর থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ১২ ডিসেম্বর তার স্বামী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শেখ হাসিনা রাফিকা আকতার জাহান বেবিকে সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য নৌকা প্রতিক উপহার দেন । ২০২১ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হওয়ায় ওইসময় সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন,সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন ও ওইসময়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত এর নেতৃত্বে জনসাধারণের সাথে বল প্রয়োগ করে মেয়র নির্বাচিত করেন রাফিকা আকতার জাহান বেবিকে। ওই সময় বিএনপি ও জামাতের কোন নেতা নির্বাচনে অংশ নেননি। ফলে রাফিকা আকতার জাহান বেবি মেয়র নির্বাচিত হয়ে ১৯ এপ্রিল শপথ গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতি ও স্বেচ্ছারিতা শুরু করে দেন। শহর উন্নয়নে প্রায় প্রতিটা বছর ১০০ থেকে ১৭১ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হলেও নিজের উন্নয়ন ছাড়া শহরের সিকি ভাগ ও উন্নয়ন করেন নাই তিনি। এর ফলে

পৌরসভার ১৪ কাউন্সিলর শহরের সেবামূলক খাত ও আয়ের উৎসগুলো  থেকে অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করার অভিযোগ করেন বিভিন্ন দপ্তরে। মেয়রের দুর্নীতি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ১৪ কাউন্সিল প্রায় দুই বছর মানববন্ধন, সাংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যান । কিন্তু মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি কাউন্সিলদের অভিযোগ, মানববন্ধন সহ আন্দোলনের তোয়াক্কা না করে পৌরসভার উন্নয়নের বরাদ্দকৃত অর্থ ও জনগনের কাছ থেকে পৌরসভার আদায় কৃত অর্থ নিজ এ্যাকউন্টে রেখে বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে জমি ও ফ্লাট কিনে রাখেন। যে স্বামীর কারনে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা রাফিকা আকতার জাহান বেবিকে মেয়র নির্বাচিত করছেন।সেই রাফিকা আকতার জাহান বেবি মেয়র নির্বাচিত হয়ে স্বামীর ভাই বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন।

জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিল খালেক বলেন, মেয়রের কাছে কোন কিছু প্রস্ন করলে  সাবেক মেয়র বেবি বলেছেন মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র বানিয়েছেন। জবাবদিহীতা করলে আমি তাঁর কাছে করব। কোন কাউন্সিল আমার পরিষদে থাক আর নাই থাক আমি কেউকে তোয়াক্কা করি না।

তিনি আরো বলেন মেয়র রাফিকার স্বেচ্ছাচারিতা শুধু পৌরসভাতেই নয়, তার স্বামির পরিবারের প্রতিও শুরু করেন অত্যাচার। নির্বাচিত হওয়ার পর, শহরের নতুন বাবুপাড়ায় তার স্বামির প্রায় ১০শতক জায়গায় একটি ২য় তলা ভবন আছে। সেখান থেকেও তার স্বামীর বড় বোন ও ছোট্ট ভাইকে বের করে দিয়েছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভায় মোট মঞ্জুরিকৃত পদ রয়েছে ১৫৮টি। সেখানে কর্মরত ছিল মাত্র ২৯ জন। ১৫৬টি পদই ছিল শূন্য। কিন্ত মেয়র রাফিকা আকতার ওই শুণ্য পদ পূরণের ব্যবস্থা না নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৪শত ৫০ জনকে মাস্টার রোলে নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। এছাড়া প্রতিদিন পৌরকর আদায় করলেও তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসের পর থেকে টোল আদায় রেজিস্টারে কোন হিসেব রাখা হয়নি এবং টোলের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।  এছাড়া এল আর ফান্ডে রাখা কোটি টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা না দিয়ে তা নিজ এ্যাকাউন্টে রেখে জমি জায়গা ঘরবাড়ি সব করে পালিয়েছেন তিনি। তার ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে পৌর পরিষদের ১৪জন কাউন্সিলর নীলফামারী জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় পর্যন্ত মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কিন্তু কোন সুফল না পাওয়ায় সর্বশেষ রংপুর বভিাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতীর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের  গত ৩০ মে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেন সৈয়দপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে পৌরসভার বিভিন্ন শাখার রেজিষ্টার খাতা পর্যবেক্ষন করলে মেয়রের অনিয়ম ও দুর্ণীতির প্রমান মিলে। তবে এ বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি  প্রকাশ করাও হয়নি ওই পরিদর্শকের প্রতিবেদন। আওয়ামী লীগের মেয়র হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি ওই সময়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি সুকৌশলে সৈয়দপুর পৌরসভার প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু পৌর পরিষদে রেখে যায় তারই পছন্দের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, ইন্জিয়ার জুয়েল, কম্পিউটার অপারেটর টিপু সুলতান। জন্মবিবন্ধন শাখায় কর্মরত রিজভী, সহ অনেকে। এসব বিষয়ে অবগত আছেন পৌর পরিষদ এর প্রশাসক নুর- ই আলম সিদ্দিক। কিন্তু তিনিও কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানান অনেকে। অনেকের মতে গতদিনে এই প্রশাসক ছিলেন আওয়ামী সমর্থক। যার ফলে পৌরসভায় কর্মরত আওয়ামী সমর্থকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নিচ্ছেন না।

সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুর-ই -আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়গুলো জানতে পেরেছি সত্য। কিন্তু সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। নির্দেশনা আসলেই যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

শেখ হাসিনা পছন্দের মেয়র রাফিকা অর্ধ শত কোটি টাকা নিয়ে পলাতক

Update Time : ০৯:০০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

শেখ হাসিনা তুষ্ট সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাফিকা আকতার জাহান বেবী পৌরসভার কোন প্রকার উন্নয়ন না করে প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। আওয়ামীলীগের নেত্রী ও মেয়রের দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি ও স্বেচারিতা চালিয়ে যান তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হওযার পর থেকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ১২ ডিসেম্বর তার স্বামী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শেখ হাসিনা রাফিকা আকতার জাহান বেবিকে সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য নৌকা প্রতিক উপহার দেন । ২০২১ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হওয়ায় ওইসময় সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন,সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন ও ওইসময়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত এর নেতৃত্বে জনসাধারণের সাথে বল প্রয়োগ করে মেয়র নির্বাচিত করেন রাফিকা আকতার জাহান বেবিকে। ওই সময় বিএনপি ও জামাতের কোন নেতা নির্বাচনে অংশ নেননি। ফলে রাফিকা আকতার জাহান বেবি মেয়র নির্বাচিত হয়ে ১৯ এপ্রিল শপথ গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতি ও স্বেচ্ছারিতা শুরু করে দেন। শহর উন্নয়নে প্রায় প্রতিটা বছর ১০০ থেকে ১৭১ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হলেও নিজের উন্নয়ন ছাড়া শহরের সিকি ভাগ ও উন্নয়ন করেন নাই তিনি। এর ফলে

পৌরসভার ১৪ কাউন্সিলর শহরের সেবামূলক খাত ও আয়ের উৎসগুলো  থেকে অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করার অভিযোগ করেন বিভিন্ন দপ্তরে। মেয়রের দুর্নীতি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ১৪ কাউন্সিল প্রায় দুই বছর মানববন্ধন, সাংবাদ সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যান । কিন্তু মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি কাউন্সিলদের অভিযোগ, মানববন্ধন সহ আন্দোলনের তোয়াক্কা না করে পৌরসভার উন্নয়নের বরাদ্দকৃত অর্থ ও জনগনের কাছ থেকে পৌরসভার আদায় কৃত অর্থ নিজ এ্যাকউন্টে রেখে বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে জমি ও ফ্লাট কিনে রাখেন। যে স্বামীর কারনে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা রাফিকা আকতার জাহান বেবিকে মেয়র নির্বাচিত করছেন।সেই রাফিকা আকতার জাহান বেবি মেয়র নির্বাচিত হয়ে স্বামীর ভাই বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন।

জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিল খালেক বলেন, মেয়রের কাছে কোন কিছু প্রস্ন করলে  সাবেক মেয়র বেবি বলেছেন মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মেয়র বানিয়েছেন। জবাবদিহীতা করলে আমি তাঁর কাছে করব। কোন কাউন্সিল আমার পরিষদে থাক আর নাই থাক আমি কেউকে তোয়াক্কা করি না।

তিনি আরো বলেন মেয়র রাফিকার স্বেচ্ছাচারিতা শুধু পৌরসভাতেই নয়, তার স্বামির পরিবারের প্রতিও শুরু করেন অত্যাচার। নির্বাচিত হওয়ার পর, শহরের নতুন বাবুপাড়ায় তার স্বামির প্রায় ১০শতক জায়গায় একটি ২য় তলা ভবন আছে। সেখান থেকেও তার স্বামীর বড় বোন ও ছোট্ট ভাইকে বের করে দিয়েছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভায় মোট মঞ্জুরিকৃত পদ রয়েছে ১৫৮টি। সেখানে কর্মরত ছিল মাত্র ২৯ জন। ১৫৬টি পদই ছিল শূন্য। কিন্ত মেয়র রাফিকা আকতার ওই শুণ্য পদ পূরণের ব্যবস্থা না নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৪শত ৫০ জনকে মাস্টার রোলে নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। এছাড়া প্রতিদিন পৌরকর আদায় করলেও তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসের পর থেকে টোল আদায় রেজিস্টারে কোন হিসেব রাখা হয়নি এবং টোলের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।  এছাড়া এল আর ফান্ডে রাখা কোটি টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা না দিয়ে তা নিজ এ্যাকাউন্টে রেখে জমি জায়গা ঘরবাড়ি সব করে পালিয়েছেন তিনি। তার ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে পৌর পরিষদের ১৪জন কাউন্সিলর নীলফামারী জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় পর্যন্ত মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কিন্তু কোন সুফল না পাওয়ায় সর্বশেষ রংপুর বভিাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতীর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের  গত ৩০ মে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেন সৈয়দপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে পৌরসভার বিভিন্ন শাখার রেজিষ্টার খাতা পর্যবেক্ষন করলে মেয়রের অনিয়ম ও দুর্ণীতির প্রমান মিলে। তবে এ বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি  প্রকাশ করাও হয়নি ওই পরিদর্শকের প্রতিবেদন। আওয়ামী লীগের মেয়র হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি ওই সময়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি সুকৌশলে সৈয়দপুর পৌরসভার প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু পৌর পরিষদে রেখে যায় তারই পছন্দের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, ইন্জিয়ার জুয়েল, কম্পিউটার অপারেটর টিপু সুলতান। জন্মবিবন্ধন শাখায় কর্মরত রিজভী, সহ অনেকে। এসব বিষয়ে অবগত আছেন পৌর পরিষদ এর প্রশাসক নুর- ই আলম সিদ্দিক। কিন্তু তিনিও কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানান অনেকে। অনেকের মতে গতদিনে এই প্রশাসক ছিলেন আওয়ামী সমর্থক। যার ফলে পৌরসভায় কর্মরত আওয়ামী সমর্থকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নিচ্ছেন না।

সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুর-ই -আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়গুলো জানতে পেরেছি সত্য। কিন্তু সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। নির্দেশনা আসলেই যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।