Dhaka ০৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে তীব্র শীতও কুয়াশা নামতে পারেনি কোন বিমান

তীব্র শীতে জুবুথুবু অবস্থা সৈয়দপুরের জনপদ।কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে মানুষ সহ গৃহপালিত পশু।বেলা ১২ হলেও সুর্যের দেখা মেলেনি। সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো বরাবরের মতোই হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে।

কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না।ভাড়া না পেয়ে অলস সময় পার করছেন রিকশাচালকরা। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গরম পোশাকের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ কাথা, ও পুরোনো লুঙ্গি গায়ে জড়িয়ে মাঠের কাজে বের হচ্ছেন। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রা। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

ইটভাটায় কাজ করতে বের হওয়া কামারপুকুর ইউনিয়ন বাজারের মতিউর রহমান বলেন, ভাটায় কাজ কাম কম,তাই দুইদিন থাকি গাওত চাদর দিয়া ইস্কা চলের যাওছো। বাড়িত ৫ জন মানুষ। ইস্কা না চলাইলে কি খামো কন। মোকছেদ আলী নামের অপর এক জন বলেন, হামার গরম কি আর ঠান্ডা কি?  কামত না বেড়াইলে পেটত ভাত যাইবেনা। হাত পাও অবশ হয়া গেইছে। মাফলার দিয়া কান ঢাকি কামত যাওছো।

ভ্যানচালক মনসুর আহমেদ বলেন, সকাল ১২টা বাজে, সূর্যের দেখা এলাও পাওয়া যায়ছে না, মানুষ ঘর থাকে ব্যার হয়ছে না কুয়াশাত।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন,গত ২/৩  দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত মঙ্গলবার  ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বুধবার ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। হিমেল হাওয়ার সাথে আকাশ কুয়াশাছন্ন থাকায় ২ টি বিমান নভোএয়ার ও এয়ার আ্যাষ্টেট বিমান, বিমানবন্দরে নামতে পারে নি। সিদ্দিক চৌধুরী নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা যাবো বলে নভোএয়ার বিমানের অপেক্ষায় আছি কিন্তু প্রচন্ড শীত ও কুয়াশাছন্ন আকাশের কারনে বিমান এখন পর্যন্ত বিমানবন্দরে নামতে পারে নি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্হাপক মানিক মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুয়াশার কারনে আপাততঃ বিমান অবতরন বন্ধ। কুয়াশা কেটে গেলেই বিমান চলাচলে বাধা থাকবে না ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সৈয়দপুরে তীব্র শীতও কুয়াশা নামতে পারেনি কোন বিমান

Update Time : ০২:৫০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

তীব্র শীতে জুবুথুবু অবস্থা সৈয়দপুরের জনপদ।কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে মানুষ সহ গৃহপালিত পশু।বেলা ১২ হলেও সুর্যের দেখা মেলেনি। সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো বরাবরের মতোই হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে।

কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না।ভাড়া না পেয়ে অলস সময় পার করছেন রিকশাচালকরা। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গরম পোশাকের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ কাথা, ও পুরোনো লুঙ্গি গায়ে জড়িয়ে মাঠের কাজে বের হচ্ছেন। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রা। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

ইটভাটায় কাজ করতে বের হওয়া কামারপুকুর ইউনিয়ন বাজারের মতিউর রহমান বলেন, ভাটায় কাজ কাম কম,তাই দুইদিন থাকি গাওত চাদর দিয়া ইস্কা চলের যাওছো। বাড়িত ৫ জন মানুষ। ইস্কা না চলাইলে কি খামো কন। মোকছেদ আলী নামের অপর এক জন বলেন, হামার গরম কি আর ঠান্ডা কি?  কামত না বেড়াইলে পেটত ভাত যাইবেনা। হাত পাও অবশ হয়া গেইছে। মাফলার দিয়া কান ঢাকি কামত যাওছো।

ভ্যানচালক মনসুর আহমেদ বলেন, সকাল ১২টা বাজে, সূর্যের দেখা এলাও পাওয়া যায়ছে না, মানুষ ঘর থাকে ব্যার হয়ছে না কুয়াশাত।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন,গত ২/৩  দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত মঙ্গলবার  ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বুধবার ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। হিমেল হাওয়ার সাথে আকাশ কুয়াশাছন্ন থাকায় ২ টি বিমান নভোএয়ার ও এয়ার আ্যাষ্টেট বিমান, বিমানবন্দরে নামতে পারে নি। সিদ্দিক চৌধুরী নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা যাবো বলে নভোএয়ার বিমানের অপেক্ষায় আছি কিন্তু প্রচন্ড শীত ও কুয়াশাছন্ন আকাশের কারনে বিমান এখন পর্যন্ত বিমানবন্দরে নামতে পারে নি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্হাপক মানিক মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুয়াশার কারনে আপাততঃ বিমান অবতরন বন্ধ। কুয়াশা কেটে গেলেই বিমান চলাচলে বাধা থাকবে না ।