রাজশাহীর তানোরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার বক্তব্যে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিএনপি বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। গভীর নলকূপের অপারেটরের নিয়োগ দেয়া হয় আ”লীগ নেতাদের। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে কৃষক সমাজ তানোর উপজেলার ব্যানারে জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। মিছিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা করেন। সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আক্কাস আলী, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম ও থানা আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন। বক্তারা বলেন গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে একটি পক্ষ গত বৃহস্পতিবার মিছিল সমাবেশ ও মুল গেটে তালা দেন।
কোন সাহসে তারা একাজ করেছে। কার ক্ষমতায় অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এদের কে চিহ্নিত করে মামলার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হোক। নচেৎ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অপারেটর নিয়োগ হয়েছে নিয়ম মতই। কিন্তু বিএনপির কিছু নেতারা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর ও তার ভাই শিক্ষক রেজাউল ইসলাম রেজাকে অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ করা হয়েছে। আমরা দেখতে চায় তারা আজ কোথায়। তাদের তদবিরে কাজ হলে সবই ঠিক না হলে সবই ভূল। আমরা দৃঢ় ভাবে বলতে চায় উপজেলাশ কোন চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজিসহ কোন বৈষম্য রাখা হবে না। তারা বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে করে এধরণের বক্তব্য দেন। সামাজিক যোগাযোগে জামাত নেতাদের বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি কিভাবে আ”লীগের নেতাকর্মীদের গভীর নলকূপের নিয়োগ হয়। যেখানে গণহত্যার দায়ে আ”লীগের বিরুদ্ধে বিচার চলমান এবং বিচারের মাধ্যমেই নিষিদ্ধের প্রক্রিয়াও চলছে ।
আর প্রকৌশলী স্বৈরাচার দোসরদের নিয়োগের মাধ্যমে পুনর্বাসন করেছেন। এসব নিয়োগ বাতিলের জন্য অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। এখানের জামাতের কেন এত গাত্রদাহ । আমরা জেনেছি জামায়াতের শীর্ষ নেতার আত্মীয় সহকারী প্রকৌশলীর ভাই রেজা মাস্টার। তাহলে কি জামাত আর রেজা মাস্টার মিলে আ”লীগকে পুনর্বাসন করেছেন। এটা থেকে স্পষ্ট জামাতের মাধ্যমে পুনর্বাসন হয়েছে আ’লীগ। আবার প্রকৌশলীর স্বজনদের দেয়া হয়েছে অপারেটর। এমন আজব নিয়োগ নিয়ে পুরো উপজেলা বাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর জামাত প্রকৌশলীর পক্ষ নিচ্ছেন। মঞ্চ বা মাইক হাতে পেলেই যা খুশি বলা যায় না। জামাত বলছে আমরা নাকি বিএমডিএ অফিস ভাংচুর করেছি। প্রকৌশলীর উপর এত কিসের মায়া মমতা। তাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বিএনপির চেয়ে প্রকৌশলী আগে। সে যদি অনিয়ম না করত তাহলে অফিসে কেন আসছেনা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় আ”লীগের ছড় গায়ে লাগিয়ে প্রকৌশলী ও তার ভাই সবকিছু করে গেছেন। এখন খোলস পাল্টিয়ে জামাতের ছড় গায়ে লাগিয়েছে। এসব করে কোন লাভ হবে না। তারা তো আবার মোনাজাত করে ডিপ দখল করেন। তাদের মুখে এসব কথা কতটা গ্রহনযোগ্য সেটা জনগণই বলে দিবে।
এর আগে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে বিএনপি নেতা মিজান, হান্নান, মফিজ, একরাম আলী মোল্লা ও জামায়াতের আমীর আলমগীর অপারেটর নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে সভা করেন। সভা থেকে বেরিয়ে এসে সবাই গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন।
এসব বিষয়ে জানতে জামায়াতের আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেনের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর সোমবার নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অপারেটর নিয়োগে আ”লীগের নেতাকর্মীদের জয়জয়কার অবস্থা। এরই প্রতিবাদে গত বুধবার সাধারণ কৃষক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং অফিসে তালা দেয়। পরে অবশ্য তালা খুলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।