Dhaka ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নন্দীগ্রামে তদন্তে গিয়ে চা বিক্রেতার নিকট ঘুষের দাবি

মাদক ও শিশু পাচার প্রতিরোধ বিজিবি ও বিএসএফের বৈঠক - 22

সাধারণ ডায়েরি (জিডির) তদন্তে এসে চা বিক্রেতার কাছে ১৩ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী চা বিক্রেতা মো: হানিফ নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কচুগাড়ীর বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনি ডাকযোগ বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবরে অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে অভিযোগের অনুলিপি উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রাজশাহী রেঞ্জ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ায় প্রেরণ করেছে।

মো: হানিফ অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিবেশী মো: টুকু মিয়ার সাথে জায়গায় নিয়ে বিরোধের কারণে সে নন্দীগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি তদন্তের রিপোর্ট পাঠানোর জন্য এএসআই আলমগীর হোসেন প্রথমে আমার কাছে থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে ২৬/১১/২০২৪ইং তারিখে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার পরে আবার তদন্তের কথা বলে আমার কাছে সে দশ হাজার টাকা দাবি করে। আমি বলি আমি একজন চা বিক্রেতা এতো টাকা দিতে পারবোনা। তখন সে বলে আমার বিরুদ্ধে জিডির তদন্ত রিপোর্ট দিবে। এই জন্য আমি প্রতিকারের আশায় এই অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, আমি হানিফের জিডির তদন্ত করছি। তবে তার কাছে থেকে কোন টাকা আমি নেইনি। কোন টাকার দাবিও করিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

নন্দীগ্রামে তদন্তে গিয়ে চা বিক্রেতার নিকট ঘুষের দাবি

Update Time : ০৮:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

সাধারণ ডায়েরি (জিডির) তদন্তে এসে চা বিক্রেতার কাছে ১৩ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী চা বিক্রেতা মো: হানিফ নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কচুগাড়ীর বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনি ডাকযোগ বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবরে অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে অভিযোগের অনুলিপি উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রাজশাহী রেঞ্জ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ায় প্রেরণ করেছে।

মো: হানিফ অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিবেশী মো: টুকু মিয়ার সাথে জায়গায় নিয়ে বিরোধের কারণে সে নন্দীগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি তদন্তের রিপোর্ট পাঠানোর জন্য এএসআই আলমগীর হোসেন প্রথমে আমার কাছে থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে ২৬/১১/২০২৪ইং তারিখে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার পরে আবার তদন্তের কথা বলে আমার কাছে সে দশ হাজার টাকা দাবি করে। আমি বলি আমি একজন চা বিক্রেতা এতো টাকা দিতে পারবোনা। তখন সে বলে আমার বিরুদ্ধে জিডির তদন্ত রিপোর্ট দিবে। এই জন্য আমি প্রতিকারের আশায় এই অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, আমি হানিফের জিডির তদন্ত করছি। তবে তার কাছে থেকে কোন টাকা আমি নেইনি। কোন টাকার দাবিও করিনি।