বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ মো. রাকিব হাসান ও ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রোহানের বাবা সুলতান আহমেদের উপর দুবৃত্তের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় রাকিব হাসানের মাথায় দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখন করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহাত রাকিব পাথরঘাটে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও খাদ্য গুদামের পূর্ব পাশের বাদল শিকদারের ছেলে এবং সুলতান আহমেদ পাথরঘাটা পৌরসভা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রোহানের বাবা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের খাদ্য গুদাম এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা হাসানের সাথে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সদস্য নাসির ওরফে কাটা নাসিরের সাথে বাকবিতন্ডা এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। এর সূত্রধরে দুপুর দেড়টার দিকে কাটা নাসির তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে নুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌছালে ওত পেতে থকায়া ছাত্রলীগের নেতা রাব্বি ও হাচান দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে লোপাতারি কুপিয়ে চলে যায়। পরে নাসির ওরফে কাটা নাসিরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষনা করেন। এর সাথে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা থাকার সন্ধেহে পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ রাকিব হাচানের বাসায় গিয়ে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে যখম করেন এবং পৌর সাধারণ সম্পাদক রোহানের বাবা সুলতান আহমেদকে মারধর করেন।
সভাপতি রাকিব হাচান জানান, দুপুরের পর ঢাকা থেকে তিনি বাসায় এসে ছোট ভাগ্নের সাথে ছিলেন, এর কিছুক্ষন পরে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু ছেলে এবং অপরিচিত কিছু ছেলেরা ঘরের মধ্যে ডুকে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তার মাকেও থাপ্পড় দেয়া হয়। এর পরে তারা কিছুই মনে নেই বলে জনানা।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামীম আহসান জানান, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ ভাবে পাথরঘাটায় কাজ করে আসছি, আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। একটি কুচক্রী মহল আমাদের মধ্যে ডুকে বিরোধ সৃস্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে। পাথরঘাটায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জামায়াতে ইসলামী বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জামায়েত ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, তারা শান্তিতে বিশ্বাসী। এই হত্যাকান্ড যারা ঘটিয়েছে সে যেই হোক না কেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং যারা ছাত্র শিবিরের সভাপতি রাকিব হাচান এবং পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক রোহানের বাবা উপর হামলা চালিয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।