দিনাজপুরের হিলির সীমান্ত এলাকা মাধবপাড়ায় জমে উঠেছে আগাম জাতের আলু বিক্রির অস্থায়ী হাট। প্রতিদিন ২ হাজার মণ আলু বেচা-কেনা হয় এই হাটে। যেখানে আলু কিনতে আসেন দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা। এদিকে মাঠ থেকে আলু উঠানোর পর কোন ঝামেলা ছাড়াই বাড়ির পাশে বিক্রি করতে পারায় খুশি চাষীরা। অস্থায়ী এই হাটে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় অনেক বেকার মানুষের।
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বিরামপুর ও হিলি হাকিমপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ছোট যমুনা নদী,আর এই যমুনা নদীর চরে প্রতি বছরই চাষ হয় আগাম জাতের আলু। ছোট যমুনা নদী আর নদীর পাশে প্রতিবছর আগাম জাতের আলুর চাষ করেন দুই উপজেলার আলু চাষীরা। আর এসব চাষীদের কথা চিন্তা করে সীমান্তবর্তী মাধবপাড়ায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী আলুর হাট। আর এই হাটে খুব সহজেই জমি থেকে আলু উঠানোর পর সরাসরি পাইকারের কাছে বিক্রি করতে পারেন তারা। ঢাকা, রাজশাহী, নাটোর, রংপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা আসছেন আলু কিনতে। প্রতি বিঘা আলু চাষে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আলুর ফলন আসছে ৫০ থেকে ৬০ মণ আর বর্তমানে প্রতিমণ ২ হাজার ৬শ টাকায় বিক্রি হওয়ায় প্রতি বিঘায় লাভ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এদিকে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা।
প্রতিবছরের ন্যায় এক মাসের জন্য এবারো বসেছে অস্থায়ী আলুর হাটটি, যেখানে পাইকার ও আলু চাষীদের সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস হাটের ইজারাদারের।
এদিকে আলুর মান ভালো হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছেন এ হাটে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ ট্রাক আলু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।অস্থায়ী এই আলুর হাটটি চলবে এক মাসব্যাপী যেখানে আলু বিক্রি হবে ১৫ থেকে ২০ কোটির টাকার মতো।