Dhaka ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোরশায় ঘরে ঘরে পিঠা-পুলিতে চলছে শীতের উৎসব

চলছে শীত কাল। কনকনে শীতে চারিদিকে ঢেকে রাখছে ঘনকুয়াশা। মিষ্টি রোদ ঘনকুয়াশাকে মিলিয়ে দেয়। আকাশে ছোট বড় মেঘ সূর্যকে ঢেকে রাখছে। ঘন কুয়াশার কারনে যেন অন্ধকারে ছেঁয়ে যায় চারদিক। শিশির ভেজা সকাল-সন্ধায় ভাপা পিঠা আর পুলি পিঠায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে গ্রামীনজনপদ। বাড়ি বাড়ি চলছে শীতের দিনের নানান প্রকারের পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসব। শীতের খাবারের মধ্যে প্রধান আকর্ষন হচ্ছে খেজুরের গুড় ও ভাপা পিঠা।

নওগাঁর পোরশা উপজেলার প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি এখন যেন শীতের আমেজ পড়েছে। চলছে শীতের নানান ধরনের পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসব। ফুটপাতগুলোতেও চলছে ভাপা, চিতই, কালাইরুটি সহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরী বিক্রি এবং খাওয়ার ধুম।

শশুর-শাশুড়ি তাদের মেয়ে জামাইদের বাড়ি নিয়ে এনে শীতের নানান প্রকারের পিঠা-পুলি খাওয়াচ্ছেন। শীতের দিনে মেয়ে জামাইদের দাওয়াত দিয়ে শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ানো এটা পোরশার অনেক দিনের পুরনো ঐতিহ্য।

ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে রান্না ঘরে বসে মায়ের হাতের মিষ্টি পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। যোগ হয়েছে বিভিন্ন বাজার ও মোড়ের ফুটপাতে বসা  ভ্রাম্যমান বাহারি রঙের পিঠা। শীতের রাতে গরম গরম ভাপা পিঠা আর পুলি পিঠা খাওয়ার মজাটা যেন সবাই এসে ভাগ করে নেয় এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে বসার জন্য দোকানের দুই পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। পিঠা খেতে আসা ক্রেতারা বেঞ্চে বসে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে পিঠা-পুলি খেয়ে তৃপ্তি নিচ্ছেন। এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাধারনত কর্মব্যস্ত মানুষগুলোই বেশি ভিড় জমাচ্ছে। কর্মব্যস্ত মানুষগুলো সারাদিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে সন্ধায় ফুটপাতে গড়ে তোলা বা ভ্রাম্যমান পিঠাপুৃলির দোকানে এসে ভিড় জমায়। সবমিলিয়ে জমে উঠে পিঠাপুলির দোকানগুলিতে বেচাকেনার ধুম।

উপজেলার সারাইগাছী বাজারের ইমরান জানান, তারা প্রতি বছর শীতকে ঘিরে অনেক মজা করেন। শীত এলেই বাড়ি বাড়ি চলে পিঠা-পুলি খাওয়ার আড্ডা।

পোরশা উপজেলার একজন ভ্রাম্যমান পিঠাপুলি ব্যবসায়ী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিঠা-পুলির এ ব্যবসা করে আসছেন। তার সাংসারিক বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি এ পেশা ধরে রেখেছেন। অল্প খরচে ভালো লাভের আশায় প্রতিদিন সকাল-সন্ধা তিনি এ ব্যবসা করছেন। এ ব্যবসায় বেশ ভাল আয় হয় বলেও তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ

পোরশায় ঘরে ঘরে পিঠা-পুলিতে চলছে শীতের উৎসব

Update Time : ০৫:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

চলছে শীত কাল। কনকনে শীতে চারিদিকে ঢেকে রাখছে ঘনকুয়াশা। মিষ্টি রোদ ঘনকুয়াশাকে মিলিয়ে দেয়। আকাশে ছোট বড় মেঘ সূর্যকে ঢেকে রাখছে। ঘন কুয়াশার কারনে যেন অন্ধকারে ছেঁয়ে যায় চারদিক। শিশির ভেজা সকাল-সন্ধায় ভাপা পিঠা আর পুলি পিঠায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে গ্রামীনজনপদ। বাড়ি বাড়ি চলছে শীতের দিনের নানান প্রকারের পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসব। শীতের খাবারের মধ্যে প্রধান আকর্ষন হচ্ছে খেজুরের গুড় ও ভাপা পিঠা।

নওগাঁর পোরশা উপজেলার প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি এখন যেন শীতের আমেজ পড়েছে। চলছে শীতের নানান ধরনের পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসব। ফুটপাতগুলোতেও চলছে ভাপা, চিতই, কালাইরুটি সহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরী বিক্রি এবং খাওয়ার ধুম।

শশুর-শাশুড়ি তাদের মেয়ে জামাইদের বাড়ি নিয়ে এনে শীতের নানান প্রকারের পিঠা-পুলি খাওয়াচ্ছেন। শীতের দিনে মেয়ে জামাইদের দাওয়াত দিয়ে শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ানো এটা পোরশার অনেক দিনের পুরনো ঐতিহ্য।

ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে রান্না ঘরে বসে মায়ের হাতের মিষ্টি পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। যোগ হয়েছে বিভিন্ন বাজার ও মোড়ের ফুটপাতে বসা  ভ্রাম্যমান বাহারি রঙের পিঠা। শীতের রাতে গরম গরম ভাপা পিঠা আর পুলি পিঠা খাওয়ার মজাটা যেন সবাই এসে ভাগ করে নেয় এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে বসার জন্য দোকানের দুই পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। পিঠা খেতে আসা ক্রেতারা বেঞ্চে বসে জমিয়ে আড্ডা দিয়ে পিঠা-পুলি খেয়ে তৃপ্তি নিচ্ছেন। এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাধারনত কর্মব্যস্ত মানুষগুলোই বেশি ভিড় জমাচ্ছে। কর্মব্যস্ত মানুষগুলো সারাদিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে সন্ধায় ফুটপাতে গড়ে তোলা বা ভ্রাম্যমান পিঠাপুৃলির দোকানে এসে ভিড় জমায়। সবমিলিয়ে জমে উঠে পিঠাপুলির দোকানগুলিতে বেচাকেনার ধুম।

উপজেলার সারাইগাছী বাজারের ইমরান জানান, তারা প্রতি বছর শীতকে ঘিরে অনেক মজা করেন। শীত এলেই বাড়ি বাড়ি চলে পিঠা-পুলি খাওয়ার আড্ডা।

পোরশা উপজেলার একজন ভ্রাম্যমান পিঠাপুলি ব্যবসায়ী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিঠা-পুলির এ ব্যবসা করে আসছেন। তার সাংসারিক বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি এ পেশা ধরে রেখেছেন। অল্প খরচে ভালো লাভের আশায় প্রতিদিন সকাল-সন্ধা তিনি এ ব্যবসা করছেন। এ ব্যবসায় বেশ ভাল আয় হয় বলেও তিনি জানান।