Dhaka ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী হত্যা, স্বামী আটক

নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বামী – স্ত্রীর কলহের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার গভীর রাতে শহরের কাজি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার সকালে অভিযুক্ত স্বামী রানাকে (৩২) আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী রানার মা রুমির মতামত না নিয়ে ১৬ দিন আগে কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন শহরের কাজি পাড়া গ্রামের মৃত্যু বাবলু মিয়ার ছেলে রানার সাথে। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন কিছু দিন ভালো চললেও পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে রানা ও মুক্তার মাঝে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়।

শনিবার গভীর রাতে রানা মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে স্বামী – স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী মুক্তাকে। এরপর পরই রানা ঘর থেকে বের হয়ে বোন লাভলীকে বলে তোর ভাবি মুক্তাকে মেরে ফেলেছি। মুক্তার বাপের বাড়িতে খবর দে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য। একথা শুনার সাথে সাথে বোন লাভলী পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পুলিশ পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, রানা তার পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলী কে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই আমার জামাই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করতো। গত শনিবার রাতেও আমার মেয়ে মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এই অত্যাচারের কথা কাজির হাট এলাকার বাসিন্দারা আমাকে বলেছেন। তিনি বলেন, যেহেতু রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, সেহেতু পরিকল্পিত ভাবে তারা মেয়ে মুক্তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যা কারির বিচার চাইছি।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে রানা নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবকটি স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের পরিবার মামলা করলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সৈয়দপুরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী হত্যা, স্বামী আটক

Update Time : ০১:৩১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বামী – স্ত্রীর কলহের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার গভীর রাতে শহরের কাজি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার সকালে অভিযুক্ত স্বামী রানাকে (৩২) আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী রানার মা রুমির মতামত না নিয়ে ১৬ দিন আগে কুন্দল পশ্চিম পাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন শহরের কাজি পাড়া গ্রামের মৃত্যু বাবলু মিয়ার ছেলে রানার সাথে। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন কিছু দিন ভালো চললেও পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে রানা ও মুক্তার মাঝে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়।

শনিবার গভীর রাতে রানা মাদক সেবন করে ঘরে ফিরলে স্বামী – স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রানা ক্ষুব্ধ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী মুক্তাকে। এরপর পরই রানা ঘর থেকে বের হয়ে বোন লাভলীকে বলে তোর ভাবি মুক্তাকে মেরে ফেলেছি। মুক্তার বাপের বাড়িতে খবর দে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য। একথা শুনার সাথে সাথে বোন লাভলী পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের কাছে রানাকে সোপর্দ করেন। পুলিশ পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, রানা তার পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তার বোন লাভলী কে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তাকে ১৬ দিন আগে বিয়ে করে। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই আমার জামাই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করতো। গত শনিবার রাতেও আমার মেয়ে মুক্তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এই অত্যাচারের কথা কাজির হাট এলাকার বাসিন্দারা আমাকে বলেছেন। তিনি বলেন, যেহেতু রানার আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, সেহেতু পরিকল্পিত ভাবে তারা মেয়ে মুক্তাকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যা কারির বিচার চাইছি।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে রানা নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবকটি স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের পরিবার মামলা করলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।