রাজশাহী -১-(তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের থানার ভিতরে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন । এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগর অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে ভাইরাল হয় পড়ে নেট দুনিয়া। সেই সাথে তোলপাড় শুরু উপজলা জুড়ে। শনিবার সন্ধ্যার পরে তানোর থানার ভিতরে ঘটে এমন ঘটনা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ প্রশাসনসহ সচেতন মহলের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। সেই সাথে একজন ব্যক্তি কিভাবে থানার ভিতরে নেতাকর্মী দের সামনে বক্তব্য দিতে পারেন এমন প্রশ্ন উঠেছে, এমন ঘটনায় ওসি মিজানুর রহমান মিজানের ভূমিকা নিয়েও বইছে সমালোচনা। কারন দেশে রাজনৈতিক সরকার নেই, আর রাজনৈতিক সভা হচ্ছে থানায়, তাহলে কি তারেক পুরো থানা পুলিশ কে নিয়ন্ত্রণ করছেন, নাকি পুলিশের দূর্বলতা। ফলে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন বিরাজমান।
জানা গেছে, গত শনিবার ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে কম্বল বিতরণ কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ মারপিট ও ভাংচুর হয়। কম্বল বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তারেক। সেখান থেকে তিনিসহ নেতাকর্মীরা থানায় আসেন। থানার ওসির সাথে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ওসির রুম থেকে বের হয়ে থানার ভিতরের আম গাছের গোড়া বাঁধানো উঁচু প্লাটফর্মে উঠে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তারেক। তিনি বলেন মারপিটের ঘটনায় পুলিশ প্রতিকার করবে। এসময় একজন বলেন আমরা তো প্রতিকার পাচ্ছি না। জবাবে তারেক বলেন এর পর আমরা তানোরে সভা করলে প্রশাসন সমান অধিকার দিবেন। প্রশাসনের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আরেক জন বলেন কথা সংক্ষিপ্ত করেন। তখন তারেক পুনরায় বলেন লক্ষি ভায়েরা এখন থেকে সহযোগিতা পাব, আমার অপরাধ হলে পিঠ পেতে দিচ্ছি মার বলে শেষ করেন।
এবিষয়ে জানতে থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজান কে ফোন দেয়া হলে তিনি জানান, সভা হয় নি উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্তনা দিয়েছেন। তিনি কি থানার ভিতরে বক্তব্য দিতে পারেন জানতে চাইলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে একই ধরনের কথা বলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার গোদাগাড়ী সার্কেল মির্জা আব্দুস সালামের সাথে ফোনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হলে তিনি জানান, থানার ভিতরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।