Dhaka ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে চিকিৎসায় চোখ খোয়ালেন সুফিয়া খাতুন

সিরাজগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় চোখ হারানোর অভিযোগ উঠেছে  ডা: মো: শফিউল আজমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোছা: সুফিয়া খাতুন (৭০) এর চোখে সানি অপারেশন করার পর তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ডাক্তার বলেন তার ডান চোখ পচে গেছে। দ্রুত চোখটি তুলে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি।  এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ডাক্তার শফিউল আজমের বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ভুল চিকিৎসা করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা সিভিল সার্জন বলেন বিষয়টি দেখে তদন্ত করা হবে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ডাক্তার শফিউল আজম পলাতক রয়েছে।ভুক্তভোগী মোছা: সুফিয়া খাতুন সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার একডালা গ্রামের বাসিন্দা ।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর শহরের সুলতানা ফ্যাকো সেন্টারে ডাক্তার শফিউল আজম তার ডান চোখের ছানি অপারেশন করে। অপারেশনের এক দিন পর চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দিলে সুফিয়া খাতুন চোখে দেখতে পান না। এরপর ১৬ ডিসেম্বর ও ২৫শে ডিসেম্বর আবারো ডাক্তার শফিউল আজম রুগিকে দেখে ঢাকায় রেফার্ড  করেন। পরবর্তীতে ঢাকায় বাংলাদেশ আই হসপিটাল এন্ড ইনস্টিটিউটে সুফিয়া খাতুন চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তার তার চোখ পরিক্ষা করে জানায়  ভুল অপারেশন এর করনে  ইনফেকশনের হয়ে তার ডান চোখ পচে গেছে। দ্রুত ডানচোখটি তুলে না ফেললে তার বাম চোখেরও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  পরে অপারেশনের মাধ্যমে তার ডান চোখ তুলে ফেলা হয়। অভিযুক্ত ডাক্তার শফিউ আলমের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুন এর পক্ষে তার ছেলে এনামুল হক বকুল সিভিল সার্জন বরাবর ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুন বর্তমানে ঢাকায় বাংলাদেশ আই হসপিটাল এন্ড ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তিনি জানান আমার ডান চোখ তুলে ফেলার পর বাম চোখ দিয়ে কিছুটা দেখছি। ভুল অপারেশনের পর ডাক্তার কালক্ষেপন করে আমার চোখটি নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুনের ছেলে এনামুল হক বকুল জানান, এর পূর্বেও ডাক্তার শফিকুল আজম আর একজনের চোখ নষ্ট করে দিয়েছিল। অপারেশনের পর আমার মার চোখে না দেখার পরও তিনি কালক্ষেপন করে  একই ধরনের চিকিৎসা দিয়ে গেছেন। তার ভুল চিকিৎসার জন্য আজ আমার মায়ের চোখ হারাতে হলো।

এদিকে, সুলতানা ফ্যাকো  সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ডা: শফিউল আজম ঘটনার পর থেকেই আর চেম্বারে আসছে না। চেম্বারের দায়িত্বরত ম্যানেজার সোহেল রানা জানান ১৫ দিন ধরে ডাক্তার চেম্বারে বসছেন না। কি কারনে বসছে না এর জবাবে তিনি বলেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ।

সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: নূরুল আমিন বলেন, বিষয়টি দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ

সিরাজগঞ্জে চিকিৎসায় চোখ খোয়ালেন সুফিয়া খাতুন

Update Time : ০৬:৫৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় চোখ হারানোর অভিযোগ উঠেছে  ডা: মো: শফিউল আজমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোছা: সুফিয়া খাতুন (৭০) এর চোখে সানি অপারেশন করার পর তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে ডাক্তার বলেন তার ডান চোখ পচে গেছে। দ্রুত চোখটি তুলে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি।  এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ডাক্তার শফিউল আজমের বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ভুল চিকিৎসা করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা সিভিল সার্জন বলেন বিষয়টি দেখে তদন্ত করা হবে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ডাক্তার শফিউল আজম পলাতক রয়েছে।ভুক্তভোগী মোছা: সুফিয়া খাতুন সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার একডালা গ্রামের বাসিন্দা ।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর শহরের সুলতানা ফ্যাকো সেন্টারে ডাক্তার শফিউল আজম তার ডান চোখের ছানি অপারেশন করে। অপারেশনের এক দিন পর চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দিলে সুফিয়া খাতুন চোখে দেখতে পান না। এরপর ১৬ ডিসেম্বর ও ২৫শে ডিসেম্বর আবারো ডাক্তার শফিউল আজম রুগিকে দেখে ঢাকায় রেফার্ড  করেন। পরবর্তীতে ঢাকায় বাংলাদেশ আই হসপিটাল এন্ড ইনস্টিটিউটে সুফিয়া খাতুন চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তার তার চোখ পরিক্ষা করে জানায়  ভুল অপারেশন এর করনে  ইনফেকশনের হয়ে তার ডান চোখ পচে গেছে। দ্রুত ডানচোখটি তুলে না ফেললে তার বাম চোখেরও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  পরে অপারেশনের মাধ্যমে তার ডান চোখ তুলে ফেলা হয়। অভিযুক্ত ডাক্তার শফিউ আলমের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুন এর পক্ষে তার ছেলে এনামুল হক বকুল সিভিল সার্জন বরাবর ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুন বর্তমানে ঢাকায় বাংলাদেশ আই হসপিটাল এন্ড ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তিনি জানান আমার ডান চোখ তুলে ফেলার পর বাম চোখ দিয়ে কিছুটা দেখছি। ভুল অপারেশনের পর ডাক্তার কালক্ষেপন করে আমার চোখটি নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুনের ছেলে এনামুল হক বকুল জানান, এর পূর্বেও ডাক্তার শফিকুল আজম আর একজনের চোখ নষ্ট করে দিয়েছিল। অপারেশনের পর আমার মার চোখে না দেখার পরও তিনি কালক্ষেপন করে  একই ধরনের চিকিৎসা দিয়ে গেছেন। তার ভুল চিকিৎসার জন্য আজ আমার মায়ের চোখ হারাতে হলো।

এদিকে, সুলতানা ফ্যাকো  সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ডা: শফিউল আজম ঘটনার পর থেকেই আর চেম্বারে আসছে না। চেম্বারের দায়িত্বরত ম্যানেজার সোহেল রানা জানান ১৫ দিন ধরে ডাক্তার চেম্বারে বসছেন না। কি কারনে বসছে না এর জবাবে তিনি বলেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ।

সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: নূরুল আমিন বলেন, বিষয়টি দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।