Dhaka ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরের বিতর্কিত ওসি পায়েল সাময়িক বরখাস্ত

যশোরের চৌগাছা থানার বিতর্কিত ওসি পায়েলকে টর্চার সেল পরিচালনা, ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে খুলনা রেঞ্জ থেকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওসি পায়েলের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর তার নানা অপকর্মের বিষয়টি সামনে উঠে আসে।

এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওসি পায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। যদিও পায়েল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন। ধর্ণা ধরেছিলেন বিভিন্ন দপ্তরেও। তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর পায়েল হোসেন ঢাকার রমনা থানা থেকে বদলি হয়ে যশোরের চৌগাছা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দেড় মাসের ব্যবধানে তাকে নিয়ে মুখে মুখে সমালোচনার ঝড় উঠে। তিনি থানার প্রাচীরের মধ্যে নিজ বাংলোতে টর্চার সেল পরিচালনা, ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ ডিসেম্বর গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশ হয়।

বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এর কয়েকদিন পরেই তার একটি ভিডিও ক্লিপ সামনে আসে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে পুলিশ। জেলা পুলিশ তাকে ক্লোজড করে। একইসাথে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ ব্যাপারে যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ওসি পায়েলের বিরুদ্ধে গঠন হওয়া তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো চলমান। এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা।

তিনি বলেন পায়েল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সুপারিশ করা হয়েছিল। যা মঞ্জুর হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সত্যতা মিললে বিভাগীয় মামলা করা হবে এবং চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

যশোরের বিতর্কিত ওসি পায়েল সাময়িক বরখাস্ত

Update Time : ০৬:৫৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

যশোরের চৌগাছা থানার বিতর্কিত ওসি পায়েলকে টর্চার সেল পরিচালনা, ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে খুলনা রেঞ্জ থেকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওসি পায়েলের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর তার নানা অপকর্মের বিষয়টি সামনে উঠে আসে।

এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওসি পায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। যদিও পায়েল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন। ধর্ণা ধরেছিলেন বিভিন্ন দপ্তরেও। তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর পায়েল হোসেন ঢাকার রমনা থানা থেকে বদলি হয়ে যশোরের চৌগাছা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দেড় মাসের ব্যবধানে তাকে নিয়ে মুখে মুখে সমালোচনার ঝড় উঠে। তিনি থানার প্রাচীরের মধ্যে নিজ বাংলোতে টর্চার সেল পরিচালনা, ঘুষ, রিমান্ড বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ ডিসেম্বর গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশ হয়।

বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। এর কয়েকদিন পরেই তার একটি ভিডিও ক্লিপ সামনে আসে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে পুলিশ। জেলা পুলিশ তাকে ক্লোজড করে। একইসাথে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ ব্যাপারে যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ওসি পায়েলের বিরুদ্ধে গঠন হওয়া তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো চলমান। এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা।

তিনি বলেন পায়েল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সুপারিশ করা হয়েছিল। যা মঞ্জুর হয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সত্যতা মিললে বিভাগীয় মামলা করা হবে এবং চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।