১৫ বছরের এক কিশোরীকে বখাটেদের কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো কক্সবাজার জেলায়। এরইমধ্যে পুলিশ জড়িত সন্দেহে দুই দফায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। মূল অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি চকরিয়া থানায়। ভিকটিম চিকিৎসাধীন থাকায় এজাহার জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজাহার জমা দিলেই মামলা হিসেবে রুজু করা হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর কাদের ভূইয়া।তিনি বলেন, শীঘ্রই সকলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ধর্ষণের কিছু আলামত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। এ পর্যন্ত ৭ জনকে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িত বলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপরও কোন নিরহ ব্যক্তি আসামী না হয় সেদিকে নজর রয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড কলেজ পাড়ার মোঃ ইছহাকের পুত্র মোঃ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড ঢেমুশিয়া পাড়ার আবদুল সোবহানের পুত্র মোঃ শাহজাহান (২৮) ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড টুটিয়াখালী পাড়ার মোঃ বশির (৪৫), ৪নং ওয়ার্ডের বাজারপাড়া জিয়াবুল করিমের পুত্র তাজুল ইসলাম (১৮), একই ওয়ার্ডের নুরুল আবছারের পুত্র সজিব (২৫), ৪নং ওয়ার্ডের টুটিয়াখালী বশির আহমদের পুত্র ছোটন প্রকাশ চোরা ছোটন (২৫), ৩নং ওয়ার্ডের দাতিনাখালীর আবুল ছালেহর পুত্র অমিত হাসান (২৫)।
অপরদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে ছাত্র-জনতা ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বদরখালী-মহেশখালী ব্রীজ এলাকায় সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মোঃ মনজুর কাদের ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির আশ্বাস দিলে সড়ক থেকে ব্যারিকেট তুলে নেয় ছাত্র-জনতা।ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।