Dhaka ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বসুন্ধরা চক্ষু চিকিৎসা পেলেন শরীয়তপুরের এক হাজার মানুষ

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির আয়োজনে সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতার শরীয়তপুরে ১ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের বুড়িরহাট বাজার সংলগ্ন সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনে সদর উপজেলার রুদ্রকর,ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের ১ হাজার মানুষকে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মহিবুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কিশোয়ার জাবিনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল হক মুন্সী। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ডা. নুসরাত লুবনা এবং

কক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন।

চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল আলীম বলেন, এক বছর ধরে দূরের বস্তু কম দেখি। দেখতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে ব্যথাও হয়। অনেকবার ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু সমস্যা দূর হয় নাই। টাকাও অনেক খরচ হইছে। আজকে

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির আয়োজনে সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনে ঢাকা থেকে ডাক্তার এসে আমাকে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে। চোখে সমস্যা দেখে আমাকে চমশা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এবং বিনামূল্যে ঔষধ সহ চশমা দিয়েছেন।

জুলেখা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। ভালো ডাক্তার দেখাতে টাকারও প্রয়োজন হয়। চোখে সমস্যার কারণে অনেকবার ডাক্তার দেখালেও সমস্যা দূর হয় নাই। লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ বসুন্ধরা আই ক্যাম্পে এসে চোখের ডাক্তার দেখাইছি। কোনো টাকা নেয় নাই, ফ্রি ওষুধও দিছে।

স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল বেপারী, নাঈম সরকার ও শাহাদাত হোসেন বলেন, যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে, সবাইকে ফ্রি চিকিৎসার সাথে বিনামূল্যে ঔষধ ও চশমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের অপারেশনের প্রয়োজন তাদের বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে। ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে।

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ডা. নুসরাত লুবনা বলেন, ৫ শতাধিক রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল।  প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মহিবুর রহমান বাবু ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কিশোয়ার জাবিন বলেন, আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সারা বছরই আমরা এই অঞ্চলের মানুষকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এর ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে। আর গ্রামের সাধারণ মানুষকে চক্ষু সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে আমাদের এ উদ্যোগ। গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ ও চশমা বিতরণ করায় বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বসুন্ধরা চক্ষু চিকিৎসা পেলেন শরীয়তপুরের এক হাজার মানুষ

Update Time : ১২:১৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির আয়োজনে সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতার শরীয়তপুরে ১ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের বুড়িরহাট বাজার সংলগ্ন সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনে সদর উপজেলার রুদ্রকর,ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের ১ হাজার মানুষকে এ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মহিবুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কিশোয়ার জাবিনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল হক মুন্সী। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ডা. নুসরাত লুবনা এবং

কক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন।

চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল আলীম বলেন, এক বছর ধরে দূরের বস্তু কম দেখি। দেখতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে ব্যথাও হয়। অনেকবার ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু সমস্যা দূর হয় নাই। টাকাও অনেক খরচ হইছে। আজকে

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির আয়োজনে সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনে ঢাকা থেকে ডাক্তার এসে আমাকে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে। চোখে সমস্যা দেখে আমাকে চমশা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এবং বিনামূল্যে ঔষধ সহ চশমা দিয়েছেন।

জুলেখা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। ভালো ডাক্তার দেখাতে টাকারও প্রয়োজন হয়। চোখে সমস্যার কারণে অনেকবার ডাক্তার দেখালেও সমস্যা দূর হয় নাই। লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ বসুন্ধরা আই ক্যাম্পে এসে চোখের ডাক্তার দেখাইছি। কোনো টাকা নেয় নাই, ফ্রি ওষুধও দিছে।

স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল বেপারী, নাঈম সরকার ও শাহাদাত হোসেন বলেন, যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে, সবাইকে ফ্রি চিকিৎসার সাথে বিনামূল্যে ঔষধ ও চশমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের অপারেশনের প্রয়োজন তাদের বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে। ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে।

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ডা. নুসরাত লুবনা বলেন, ৫ শতাধিক রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল।  প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

সালেহা মমতাজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী মহিবুর রহমান বাবু ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কিশোয়ার জাবিন বলেন, আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সারা বছরই আমরা এই অঞ্চলের মানুষকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এর ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে। আর গ্রামের সাধারণ মানুষকে চক্ষু সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে আমাদের এ উদ্যোগ। গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ ও চশমা বিতরণ করায় বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং লংকাবাংলা ফাইনান্স পিএলসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।