সৈয়দপুরে কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে ৭ জানুয়ারী রাত থেকে তাপমাত্রা ১৪/১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ। ছিন্নমুল জনগোষ্ঠীর মধ্যে গরম কাপড়ের জন্য সৃষ্টি হয়েছে হাহাকার। সব মিলিয়ে জবুথবু অবস্থা হয়ে পড়েছেন সৈয়দপুর তথা নীলফামারীর জনপদ।। রাত থেকে সারাদিন হালকা কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারপাশ। সেইসঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে হিমেল হাওয়া। ফলে তাপমাত্রা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। সন্ধ্যা থেকে রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডার প্রকোপ অসহনীয় অবস্থা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) পরিস্থিতি আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। কুয়াশা ও বাতাসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গড় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৪ ডিগ্রিতে। ফলে কুঁকড়ে পড়েছে পরিবেশ ও জীবন যাত্রা। রাত ও সকাল ৬ টা পর্যন্ত কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় মাত্র ২০ গজ দূরেও দেখা যায়নি। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়কে অল্প সংখ্যক যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না। লোকজনের উপস্থিতি কম রাস্তা ঘাট, হাট বাজারে। সরকারি বেসরকারি অফিসে কর্মজীবীরা জ্যাকেট, ছয়েটার পড়ে ও মাফলার কানে মুরি দিয়ে কর্মস্থলে এলেও কাজ- কর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হলেও অনেকই কাজ না করে ফিরে যাচ্ছেন। বরফের মতো শীত অনুভব হাওয়ায় মুহূর্তেই হীম হয়ে যাচ্ছে শরীর। তাই দিন মজুর সহ খেটে খাওয়া মানুষ কাজ ছেড়ে খরকুটো জ্বালানি তাপের জন্য ছুটছে।
উচ্চ ও মধ্য বিত্তরা শীতবস্ত্র পড়ে ও আগুন তাপিয়ে, শীত থেকে বাঁচতে পারলেও হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের করুণ অবস্থা। তারা না পারছে গরম কাপড় কিনে শীত নিবারণ করতে, না পারছে খাবার সংগ্রহ করতে। ফলে দূর্বিষহ অবস্থায় অবস্থায় পড়েছেন তারা।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার দিনেও ছিল ২২ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোর থেকে কুয়াশা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে। বেলা ১২ টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি শৈত্য প্রবাহের কারণে এমন পরিস্থিতি। আরও ২/৩ দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়বে। তবে চলতি মাসেই আরও ২/১ শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে আশংকা করছেন তিনি।