সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান। ইতোমধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দিল্লির থেকে চিঠির জবাব পেতে আরও অপেক্ষা করবে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
সরকারের পক্ষ থেকে তাগিদপত্র দেওয়ার প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার অনেক দুর্বধ্যতা আছে। এর মধ্যে সবকিছুর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট উত্তর হয় না। আমরা আমাদের অনুরোধ জানিয়েছে, আমরা ফেরত চেয়েছি। আমরা ভারতের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব। এর মাঝখানে কি হবে বা এর কূটনৈতিক রীতিনীতি কি, এটা আপনাদের ব্যাখ্যার জন্য অবারিত, কূটনীতির ধরাবাঁধা অনেক কিছু থাকে না; এটা এ রকম একটা পরিস্থিতি।
অন্তর্র্বতী সরকার জুলাই বিক্ষোভে জোরপূর্বক গুম ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনাও রয়েছেন তাদের মধ্যে।
সরকার যে পাসপোর্ট বাতিল করেছে ভারত জানে কিনা-জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, যখন একটা পাসপোর্ট বাতিল করা হয় তখন এটা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে সব দেশগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশের এই পাসপোর্টগুলো বাতিল করা হয়েছে। এটা সাধারণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটাতে বিষয়টি যাবে।
সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জানানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটার জন্য আমাকে একটু সময় নিতে হবে (তথ্য নেই)।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে।
জোরপূর্বক গুমের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।