Dhaka ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনারেল(অব) শরিফ ও মিজানে এককাতারে তানোর বিএনপি

????????????

বছর শুরু হয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেজর জেনারেল (অব) ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কাউন্সিলের উপদেষ্টা শরিফ উদ্দিন ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান । ওই অনুষ্ঠানে উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা ছিলেন। এক কাতারে সবাই, ঘটে একপ্রকার মিলন মেলা। গত ০২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবারে ডাকবাংলো মাঠে হয় ফুটবল টুর্নামেন্ট।

কিন্তু  বিএনপির আরেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলতানুল ইসলাম   তারেকের সমর্থকরা বছর শুরু ও শেষ করেন  সহিংসতার মাধ্যমে । তারেক মানেই যেন সহিংস পরিস্থিতি। আর জেনারেল শরীফ, মিজান ও মফিজ এবং হযরত মানেই একতা। বছর শেষ ও শুরু করেন এক মঞ্চে সভা সমাবেশের মাধ্যমে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলকে শক্তিশালী করছেন। অন্যদিকে তারেক বহিরাগতদের মাধ্যমে দলের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছেন বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ফলে তার বাহিনীর সহিংস আচরণে চরম বিব্রত সিনিয়র নেতারা। কম্বল বিতরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে   উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির মাদারিপুর বাজারে মারপিট, ভাংচুর সহ তান্ডব চালায় উভয়গ্রুপ। তারেকের সামনেই উঠতি বয়সের তরুনরাই ত্রাস সৃষ্টি করেন। উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন মত আহত হলেও চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। তাদের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও পহেলা জানুয়ারি বুধবার বিএমডিএর তানোর অফিস ঘেরাও তালা মারা, রাস্তায় আগুন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা করেন বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আ”লীগের নেতাকর্মী সহ বিতর্কিত দের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে কর্মসূচীও ঘোষণা করেন নেতারা। বিএমডিএর কর্তৃপক্ষ কে নিয়োগ বাতিলের কঠোর হুমকি দেন। অবশ্য পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর  নির্বাহীর দপ্তরে বৈঠক কে বসেন বিএনপি জামাতসহ মোহনপুর ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর প্রধান ও বিএমডিএর কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে আ”লীগের নেতাকর্মী সহ বিতর্কিত দের নিয়োগ বাতিল করার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজের আশ্বাসে সাময়িক ভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করে। আবার ওই দিন বিকেলে বিএনপি নেতাদের বিএমডিএর কর্তৃপক্ষ কে হুমকির প্রতিবাদে জামাত বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা করে পাল্টা হুমকি দেন বিএনপি নেতাদের । জামাতের এমন কর্মকান্ডেও  চরম ক্ষোভও প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা। উভয় দলের নেতাদের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এসব ঘটনায় বছরের প্রথমেই সরগরম হয়ে উঠে রাজনীতির মাঠ। তবে এসব ঘটনাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ বহুদলীয় গণতান্ত্রের সৌন্দর্য বলেই মনে করছেন সুশীল সমাজ।

বিএনপি পাগল তৃনমুলের বর্ষিয়ান কর্মী মোস্তাফা ও মুনসুর জানান, আগে আমাদের নেতা ছিল প্রয়াত ব্যরিস্টার আমিনুল হক। এখন আমাদের নেতা মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন। তার বাহিরে কোন কথা হবে না। সে আগামী দিনে জনতার ভোটে এমপি হবে ইনশাআল্লাহ। আর তানোরের নেতা সাবেক মেয়র মিজান।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখে রাজশাহী-১( তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে উড়েএসে জুড়ে বসা বিতর্কিত সুলতানুল ইসলাম তারেক ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে আসেন। বিতরনে অর্ধশতাধিক মাইক্রো বাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে এসে নিজেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দাবি করেন। তার আগমনকে ঘিরে উপজেলা পরিষদের সামনে হামলা ভাংচুর সহ মারপিটের ঘটনা ঘটে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।  তানোরের বিএনপি সাংবাদিক সম্মেলন করে তাকে বহিরাগত আ”লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে বিশৃঙ্খলা করতে না আাসার অনুরোধ করেন। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারী হঠাৎ তারেক কম্বল বিতরণের জন্য তার গুটি কিছু নেতারা উপজেলার ভবানীপুর মাদ্রাসায় মঞ্চ তৈরি করেন। সেখানে ও মাদারিপুর বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন মত আহত হয়। তাদের মধ্যে ওয়ার্ড নেতা ওবাইদুর, সদস্য সচিব শামসুল, কৃষক দলের ইউপি সদস্য সচিব রব ও সামাদ মারাত্মক আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন । ভাংচুর করা হয় ইউপি বিএনপির একাংশের সভাপতি খলিলের দোকান, সামনে থাকা বাইক, ডিস ঘরের কন্ট্রোল রুম সহ বিভিন্ন দোকানপাট। তারেকের সামনেই তার বহিরাগত কিশোর গ্যাংরা এসব তান্ডল চালিয়ে এলাকায় আতঙ ছড়িয়ে দেয়।

সুত্র জানায়  , বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় ঐক্যবদ্ধ ছিল তানোরের বিএনপি। তবে সরকার পতনের পর দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন ও সাবেক মেয়র মিজান সহ সিনিয়র নেতাদের একান্ত প্রচেষ্টায় গত দূর্গা পুজা থেকে এক কাতারে আসে বিএনপি। এরপর বেশ কিছু দলীয় সভায় নবীন প্রবীন নেতাকর্মীরা এক হয়ে কাজ শুরু করেন। কোন বিভক্তি নেই বিএনপিতে। কিন্তু গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলতানুল ইসলাম তারেক ভাড়াটিয়া লোকজন এনে বিএনপির গোছানো মাঠ নষ্টের পায়তারা করে ব্যর্থ হন। তিনি একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে তালমাতাল অবস্থায় পড়েছেন।

দলীয় সুত্র জানায়, মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন প্রয়াত মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। সে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বেগম জিয়ার সামরিক সচিব ছিলেন। প্রয়াত মন্ত্রীর মতই ক্লীন ইমজের নেতা শরিফ। তিনিই রাজশাহী -১ ( তানোর – গোদাগাড়ী) আসনের একমাত্র ধানের শীষের কান্ডারী। তাকে ছাড়া তৃনমুলের নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় কোনকিছুই ভাবছেন না।

পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, এআসনে ধানের শীষের কান্ডারী শরিফ উদ্দিন। সে তানোর গোদাগাড়ীর নেতা। আর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান তানোর বিএনপির ব্র্যান্ড। হাজারো জুলুম নির্যাতন কারাভোগ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। বর্তমানে তানোর বিএনপি এক কাতারে।

পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক তরুন উদীয়মান নুর হাজান মাহমুদ রাজা জানান, বিএনপি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। অগনিত নেতাকর্মী। জেনারেল শরীফের দিক নির্দেশনায় মত পার্থক্য থাকলেও সবাই তার নেতৃত্বে এক হয়ে আছেন। আর তানোর বিএনপিকে এক করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মিজান। তবে সবার সদ ইচ্ছায় যে কোন সময়ের চেয়ে বিএনপি যেমন ঐক্যবদ্ধ তেমনি শক্তিশালী।

উপজেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম মুর্তজা ও সদস্য সচিব শরীফ মুন্সী জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপিকে ভাঙ্গতে মাফিয়া হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারেক রহমানের সঠিক নেতৃত্বের কারনে দেশের বৃহত্তর দল হিসেবে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল আছে থাকবে। বৃহত্তর দলে কিছু ভূঁইফোড় ব্যক্তিরা স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। তানোর গোদাগাড়ীতেও শরিফ মিজানের নেতৃত্ব অটুট বিএনপি। এই ঐক্য কে কোন শক্তি নেই নষ্ট করবে।

সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর ও ৪ ঠা জানুয়ারি তে কম্বল বিতরণের নাম করে ভাড়াটিয়া বাহিনী এনে আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মী কে মারপিট সহ দোকান পাট ভাংচুর করেন দোসর তারেক। তিনি কিভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে চান ভেবে পায় না। সে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র লিটনের সহচর ছিলেন। নাম্বার ওয়ান ডোনারও তিনি। আ”লীগের সময় আ”লীগ আর বিএনপির সময় বিএনপি এটা হতে পারে না। আসলে সে এসব বিশৃঙ্খলা করে দলের ভাল পদে যেতে চায়। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। কারন সুযোগ সন্ধ্যানিদের বিএনপিতে জায়গা দিবেন না আমাদের নেতা।

পৌর বিএনপির আহবায়ক একরাম আলী মোল্লা জানান, শরিফ ও মিজানের নেতৃত্বে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তা কেউ নিনষ্ট করার সাহস পাবে না।

আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান জানান, জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন এআসনের ধানের শীষের কান্ডারী। আর মিজান স্বৈরাচার সরকারের সময় জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে কঠিন মুহুর্তে তানোর বিএনপিকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তার মত নেতা দলের নিবেদিত প্রান। দিনরাত নেতাকর্মী দের ডাকে সাড়া ও আগামী নির্বাচনের জন্য সভা সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। সে তানোর থাকা মানে দলীয় কার্যালয়ে সকাল বিকেল সভা। তার যেমন সাংগঠনিক দখ্যতা রয়েছে প্রচুর। যা কল্পনাতীত। আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই। কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে আসলে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

জেনারেল(অব) শরিফ ও মিজানে এককাতারে তানোর বিএনপি

Update Time : ০১:০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বছর শুরু হয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেজর জেনারেল (অব) ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কাউন্সিলের উপদেষ্টা শরিফ উদ্দিন ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান । ওই অনুষ্ঠানে উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা ছিলেন। এক কাতারে সবাই, ঘটে একপ্রকার মিলন মেলা। গত ০২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবারে ডাকবাংলো মাঠে হয় ফুটবল টুর্নামেন্ট।

কিন্তু  বিএনপির আরেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলতানুল ইসলাম   তারেকের সমর্থকরা বছর শুরু ও শেষ করেন  সহিংসতার মাধ্যমে । তারেক মানেই যেন সহিংস পরিস্থিতি। আর জেনারেল শরীফ, মিজান ও মফিজ এবং হযরত মানেই একতা। বছর শেষ ও শুরু করেন এক মঞ্চে সভা সমাবেশের মাধ্যমে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলকে শক্তিশালী করছেন। অন্যদিকে তারেক বহিরাগতদের মাধ্যমে দলের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করছেন বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ফলে তার বাহিনীর সহিংস আচরণে চরম বিব্রত সিনিয়র নেতারা। কম্বল বিতরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে   উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির মাদারিপুর বাজারে মারপিট, ভাংচুর সহ তান্ডব চালায় উভয়গ্রুপ। তারেকের সামনেই উঠতি বয়সের তরুনরাই ত্রাস সৃষ্টি করেন। উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন মত আহত হলেও চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। তাদের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও পহেলা জানুয়ারি বুধবার বিএমডিএর তানোর অফিস ঘেরাও তালা মারা, রাস্তায় আগুন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা করেন বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আ”লীগের নেতাকর্মী সহ বিতর্কিত দের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে কর্মসূচীও ঘোষণা করেন নেতারা। বিএমডিএর কর্তৃপক্ষ কে নিয়োগ বাতিলের কঠোর হুমকি দেন। অবশ্য পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর  নির্বাহীর দপ্তরে বৈঠক কে বসেন বিএনপি জামাতসহ মোহনপুর ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর প্রধান ও বিএমডিএর কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে আ”লীগের নেতাকর্মী সহ বিতর্কিত দের নিয়োগ বাতিল করার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজের আশ্বাসে সাময়িক ভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করে। আবার ওই দিন বিকেলে বিএনপি নেতাদের বিএমডিএর কর্তৃপক্ষ কে হুমকির প্রতিবাদে জামাত বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সভা করে পাল্টা হুমকি দেন বিএনপি নেতাদের । জামাতের এমন কর্মকান্ডেও  চরম ক্ষোভও প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা। উভয় দলের নেতাদের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এসব ঘটনায় বছরের প্রথমেই সরগরম হয়ে উঠে রাজনীতির মাঠ। তবে এসব ঘটনাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ বহুদলীয় গণতান্ত্রের সৌন্দর্য বলেই মনে করছেন সুশীল সমাজ।

বিএনপি পাগল তৃনমুলের বর্ষিয়ান কর্মী মোস্তাফা ও মুনসুর জানান, আগে আমাদের নেতা ছিল প্রয়াত ব্যরিস্টার আমিনুল হক। এখন আমাদের নেতা মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন। তার বাহিরে কোন কথা হবে না। সে আগামী দিনে জনতার ভোটে এমপি হবে ইনশাআল্লাহ। আর তানোরের নেতা সাবেক মেয়র মিজান।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখে রাজশাহী-১( তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে উড়েএসে জুড়ে বসা বিতর্কিত সুলতানুল ইসলাম তারেক ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে আসেন। বিতরনে অর্ধশতাধিক মাইক্রো বাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে এসে নিজেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দাবি করেন। তার আগমনকে ঘিরে উপজেলা পরিষদের সামনে হামলা ভাংচুর সহ মারপিটের ঘটনা ঘটে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।  তানোরের বিএনপি সাংবাদিক সম্মেলন করে তাকে বহিরাগত আ”লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে বিশৃঙ্খলা করতে না আাসার অনুরোধ করেন। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারী হঠাৎ তারেক কম্বল বিতরণের জন্য তার গুটি কিছু নেতারা উপজেলার ভবানীপুর মাদ্রাসায় মঞ্চ তৈরি করেন। সেখানে ও মাদারিপুর বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন মত আহত হয়। তাদের মধ্যে ওয়ার্ড নেতা ওবাইদুর, সদস্য সচিব শামসুল, কৃষক দলের ইউপি সদস্য সচিব রব ও সামাদ মারাত্মক আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন । ভাংচুর করা হয় ইউপি বিএনপির একাংশের সভাপতি খলিলের দোকান, সামনে থাকা বাইক, ডিস ঘরের কন্ট্রোল রুম সহ বিভিন্ন দোকানপাট। তারেকের সামনেই তার বহিরাগত কিশোর গ্যাংরা এসব তান্ডল চালিয়ে এলাকায় আতঙ ছড়িয়ে দেয়।

সুত্র জানায়  , বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় ঐক্যবদ্ধ ছিল তানোরের বিএনপি। তবে সরকার পতনের পর দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন ও সাবেক মেয়র মিজান সহ সিনিয়র নেতাদের একান্ত প্রচেষ্টায় গত দূর্গা পুজা থেকে এক কাতারে আসে বিএনপি। এরপর বেশ কিছু দলীয় সভায় নবীন প্রবীন নেতাকর্মীরা এক হয়ে কাজ শুরু করেন। কোন বিভক্তি নেই বিএনপিতে। কিন্তু গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলতানুল ইসলাম তারেক ভাড়াটিয়া লোকজন এনে বিএনপির গোছানো মাঠ নষ্টের পায়তারা করে ব্যর্থ হন। তিনি একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে তালমাতাল অবস্থায় পড়েছেন।

দলীয় সুত্র জানায়, মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন প্রয়াত মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই। সে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বেগম জিয়ার সামরিক সচিব ছিলেন। প্রয়াত মন্ত্রীর মতই ক্লীন ইমজের নেতা শরিফ। তিনিই রাজশাহী -১ ( তানোর – গোদাগাড়ী) আসনের একমাত্র ধানের শীষের কান্ডারী। তাকে ছাড়া তৃনমুলের নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় কোনকিছুই ভাবছেন না।

পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, এআসনে ধানের শীষের কান্ডারী শরিফ উদ্দিন। সে তানোর গোদাগাড়ীর নেতা। আর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান তানোর বিএনপির ব্র্যান্ড। হাজারো জুলুম নির্যাতন কারাভোগ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। বর্তমানে তানোর বিএনপি এক কাতারে।

পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক তরুন উদীয়মান নুর হাজান মাহমুদ রাজা জানান, বিএনপি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। অগনিত নেতাকর্মী। জেনারেল শরীফের দিক নির্দেশনায় মত পার্থক্য থাকলেও সবাই তার নেতৃত্বে এক হয়ে আছেন। আর তানোর বিএনপিকে এক করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মিজান। তবে সবার সদ ইচ্ছায় যে কোন সময়ের চেয়ে বিএনপি যেমন ঐক্যবদ্ধ তেমনি শক্তিশালী।

উপজেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম মুর্তজা ও সদস্য সচিব শরীফ মুন্সী জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপিকে ভাঙ্গতে মাফিয়া হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারেক রহমানের সঠিক নেতৃত্বের কারনে দেশের বৃহত্তর দল হিসেবে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ছিল আছে থাকবে। বৃহত্তর দলে কিছু ভূঁইফোড় ব্যক্তিরা স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। তানোর গোদাগাড়ীতেও শরিফ মিজানের নেতৃত্ব অটুট বিএনপি। এই ঐক্য কে কোন শক্তি নেই নষ্ট করবে।

সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর ও ৪ ঠা জানুয়ারি তে কম্বল বিতরণের নাম করে ভাড়াটিয়া বাহিনী এনে আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মী কে মারপিট সহ দোকান পাট ভাংচুর করেন দোসর তারেক। তিনি কিভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে চান ভেবে পায় না। সে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র লিটনের সহচর ছিলেন। নাম্বার ওয়ান ডোনারও তিনি। আ”লীগের সময় আ”লীগ আর বিএনপির সময় বিএনপি এটা হতে পারে না। আসলে সে এসব বিশৃঙ্খলা করে দলের ভাল পদে যেতে চায়। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। কারন সুযোগ সন্ধ্যানিদের বিএনপিতে জায়গা দিবেন না আমাদের নেতা।

পৌর বিএনপির আহবায়ক একরাম আলী মোল্লা জানান, শরিফ ও মিজানের নেতৃত্বে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তা কেউ নিনষ্ট করার সাহস পাবে না।

আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান জানান, জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন এআসনের ধানের শীষের কান্ডারী। আর মিজান স্বৈরাচার সরকারের সময় জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে কঠিন মুহুর্তে তানোর বিএনপিকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তার মত নেতা দলের নিবেদিত প্রান। দিনরাত নেতাকর্মী দের ডাকে সাড়া ও আগামী নির্বাচনের জন্য সভা সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। সে তানোর থাকা মানে দলীয় কার্যালয়ে সকাল বিকেল সভা। তার যেমন সাংগঠনিক দখ্যতা রয়েছে প্রচুর। যা কল্পনাতীত। আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই। কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে আসলে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন।