ভোলায় ৪০ দিন জামায়াতে নামাজ আদায় প্রতিযোগিতা-২০২৪ ধর্মীয় উৎসাহ ও পুরস্কার বিতরণে আনন্দমুখর পরিবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত খোরশেদ মল্লিক বাড়ি দরজা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে “৪০ দিন জামায়াতে নামাজ আদায় প্রতিযোগিতা-২০২৪” এর সমাপ্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রতিযোগিতা তরুণ প্রজন্ম ও মুসল্লিদের মধ্যে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। ৪৮ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ উদ্যোগে ৪০ দিনের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে জামায়াতে নামাজ আদায়কারী ১ম থেকে ৯ম স্থান পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতাটি এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং এটি সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরাণগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি আমান উল্লাহ ওসমানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো: মহিউদ্দিন, মাওলানা মো: ইব্রাহিম, মাওলানা মো: নুরুদীন (বর্তমান ইমাম), এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া গ্রামীণ সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের আহ্বায়ক মো: শাহরিয়ার ঝিলন, ভোলার বাণীর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মো: ইয়ামিন হাওলাদার এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ও আরসিটি-সেবা’র সিইও মোঃ রাজিব হোসেন রাজু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আগামী দিনগুলোতেও আমরা এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন, নামাজ শুধু ইবাদতের মাধ্যমই নয়, এটি মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নৈতিক জীবন যাপনে সহায়তা করে। বর্তমান প্রজন্মকে ধর্মীয় শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা সময়ের দাবি। এই প্রতিযোগিতা সেই উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হবে। বক্তারা জামায়াতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। পরে সকলের অংশগ্রহণে এক বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতিযোগীদের পাশাপাশি পুরো এলাকার কল্যাণ কামনা করা হয়।
স্থানীয় মুসল্লিগণ ও দর্শনার্থীদের মধ্যে এ আয়োজন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। এমন একটি মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকাবাসী ধর্মীয় কর্মকা-ে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ভবিষ্যতে এরকম আরও প্রতিযোগিতা ও শিক্ষামূলক কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা সকলের কাছে এ প্রচেষ্টায় সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ অনুষ্ঠানটি ধর্মীয় অনুশাসনকে সামাজিক জীবনের সঙ্গে একীভূত করার একটি সফল প্রয়াস হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।