Dhaka ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে সবজির দর পতন অব্যহত

মেহেরপুরের হাট বাজারগুলোতে সবজির দরপতন অব্যাহত। সব ধরনের সবজির ব্যাপক আমদানী থাকায় শীতকালীন সব ধরনের সবজির দর পড়তির দিকে। সবাই একযোগে একই ফসল আবাদ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করা গেলে দর পতনের এই ধাক্কা সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।

আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু ২৪-২৫ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৩০-৩৪ টাকা, এলসি রসুন ১৯০ টাকা, সিম ৯-১০ টাকা, শসা ১৫-১৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা, টমেটো ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ৫-৬ টাকা কেজি, ফুলকপি ২-৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজার দর থেকে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দরে খুচরা পর্যায়ে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে।

জেলার গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার নাজমুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুর জেলাসহ আশেপাশের জেলায় ব্যাপকভাবে শীতকালীন সবজি আবাদ হওয়ায় দর পতন হয়েছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অব্যহত দর পতনে চাষীদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। তবে গেল বছর সবজির সর্বোচ্চ চড়া মূল্যের পর এবার দর কমে যাওয়ায় স্বস্থি ফিরেছে ক্রেতাদের মনে।

কয়েকজন চাষী জানান, অক্টোবর মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়। এর পরে সব চাষী একসাথে শীতকালীন সবজি আবাদ করেন। যা একসাথে তোলার সময় হওয়ায় দর পাচ্ছেন না চাষীরা। অব্যহত লোকসানের কবলে পড়ে চাষী পরিবারের বিরাজ করছে হাহাকার।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, শস্য বিন্যাস নিয়ে চাষীদের সচেতন হতে হবে। কোন সময় কোন ফসল আবাদ করতে হবে সে বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে সবাই একযোগে একই ফসল আবাদ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করা গেলে দর পতনের এই ধাক্কা সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মেহেরপুরে সবজির দর পতন অব্যহত

Update Time : ১২:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেরপুরের হাট বাজারগুলোতে সবজির দরপতন অব্যাহত। সব ধরনের সবজির ব্যাপক আমদানী থাকায় শীতকালীন সব ধরনের সবজির দর পড়তির দিকে। সবাই একযোগে একই ফসল আবাদ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করা গেলে দর পতনের এই ধাক্কা সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।

আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু ২৪-২৫ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৩০-৩৪ টাকা, এলসি রসুন ১৯০ টাকা, সিম ৯-১০ টাকা, শসা ১৫-১৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা, টমেটো ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ৫-৬ টাকা কেজি, ফুলকপি ২-৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজার দর থেকে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দরে খুচরা পর্যায়ে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে।

জেলার গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার নাজমুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুর জেলাসহ আশেপাশের জেলায় ব্যাপকভাবে শীতকালীন সবজি আবাদ হওয়ায় দর পতন হয়েছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অব্যহত দর পতনে চাষীদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। তবে গেল বছর সবজির সর্বোচ্চ চড়া মূল্যের পর এবার দর কমে যাওয়ায় স্বস্থি ফিরেছে ক্রেতাদের মনে।

কয়েকজন চাষী জানান, অক্টোবর মাসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতে শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়। এর পরে সব চাষী একসাথে শীতকালীন সবজি আবাদ করেন। যা একসাথে তোলার সময় হওয়ায় দর পাচ্ছেন না চাষীরা। অব্যহত লোকসানের কবলে পড়ে চাষী পরিবারের বিরাজ করছে হাহাকার।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ বলেন, শস্য বিন্যাস নিয়ে চাষীদের সচেতন হতে হবে। কোন সময় কোন ফসল আবাদ করতে হবে সে বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে সবাই একযোগে একই ফসল আবাদ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদ করা গেলে দর পতনের এই ধাক্কা সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।