১৩ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মো: জুয়েল রানাকে শোকজ করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পত্রে বলা হয়েছে, ফকির মো: জুয়েল রানার বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকারের অভিযোগ উঠছে। যা রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হয়ে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা জানান, বিষয়টি জানার পরই অভিযুক্ত ফকির মো: জুয়েল রানাকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে দলের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মো: জুয়েল রানা জানান, আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই শিশুকে শারিরীক পরীক্ষা করলেই তার প্রমান পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা ফকির মো: জুয়েল রানা ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। বাড়িতে ফিরে গিয়ে স্বজনদের জানানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটি স্থানীয় সম্ভুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।