Dhaka ০৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার থেকে ৩৫০ বস্তা ডাল এলো টেকনাফ বন্দরে

দীর্ঘ এক মাস পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে ৩৫০ বস্তা ফেলন ডাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় মংডু টাউন থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস শুক্কুরের কাছে ৩৫০ বস্তা ফেলন ডাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে এসে নোঙর করে।গত সোমবার সকাল থেকে মালামাল খালাস করা হচ্ছে। পরে ডালগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গেল ডিসেম্বরে আরও এক হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল এসছিল।মিয়ানমার থেকে সবশেষ গত ৩ ডিসেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসে। গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলের নেওয়ার পর থেকে কোনো পণ্যেবাহী জাহাজ বন্দরে আসেনি।

সৈয়দ আনোয়ার আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যে।টেকনাফ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানি। সীমান্ত এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে ভাটা মিয়ানমারের পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে আগের মত আমদানি-রপ্তানি বাড়তে বলেও আশা তার।টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোঃ উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারে আমাদের অনেক টাকার মালামাল থেকে গেছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে একদম বন্ধ। আশা করছি, দ্রুত মিয়ানমারের অবস্থা স্বাভাবিক হলে টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি আগের মত স্বাভাবিক হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মিয়ানমার থেকে ৩৫০ বস্তা ডাল এলো টেকনাফ বন্দরে

Update Time : ০২:৪৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

দীর্ঘ এক মাস পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে ৩৫০ বস্তা ফেলন ডাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় মংডু টাউন থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস শুক্কুরের কাছে ৩৫০ বস্তা ফেলন ডাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে এসে নোঙর করে।গত সোমবার সকাল থেকে মালামাল খালাস করা হচ্ছে। পরে ডালগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গেল ডিসেম্বরে আরও এক হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল এসছিল।মিয়ানমার থেকে সবশেষ গত ৩ ডিসেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসে। গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলের নেওয়ার পর থেকে কোনো পণ্যেবাহী জাহাজ বন্দরে আসেনি।

সৈয়দ আনোয়ার আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যে।টেকনাফ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানি। সীমান্ত এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে ভাটা মিয়ানমারের পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে আগের মত আমদানি-রপ্তানি বাড়তে বলেও আশা তার।টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোঃ উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারে আমাদের অনেক টাকার মালামাল থেকে গেছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে একদম বন্ধ। আশা করছি, দ্রুত মিয়ানমারের অবস্থা স্বাভাবিক হলে টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি আগের মত স্বাভাবিক হবে।