১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মো: জুয়েল রানার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। চৌহালী থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, মামলা হওয়ার পর নির্যাতিত শিশুটিকে থানা হেফাজতে রেখে মঙ্গলবার তাকে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে প্রতিবেদন পেতে সময় লাগবে।
এরআগে গত রবিবার একই কারনে উপজেলা বিএনপি তাকে শোকজ করেছে। ওই পত্রে বলা হয়েছে, ফকির মো: জুয়েল রানার বিরুদ্ধে শিশু ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের এতে দলের ভাবমূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হয়ে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা জানান, অভিযুক্ত ফকির মো: জুয়েল রানাকে শোকজ করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে দলের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফকির মো: জুয়েল রানা বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই শিশুকে শারিরীক পরীক্ষা করলেই তার প্রমান পাওয়া যাবে।
জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে গত শনিবার রাতে উপজেলা সদরের চর সলিমাবাদ বাজার এলাকায় ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা জুয়েল রানা ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। বাড়িতে ফিরে গিয়ে স্বজনদের জানানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু চরসলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় সম্ভুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।