Dhaka ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিউটি পার্লার কর্মী মুক্তার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

oppo_2

সৈয়দপুরে বিউটি পার্লার কর্মী মুক্তার (২৪) হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানবববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ওই মানবন্ধন করা হয়। সৈয়দপুর বিউটি পার্লার মালিক সমিতি ও সচেতন নারী সমাজের ব্যানারে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১ টা ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সৈয়দপুর বিউটি পার্লার মালিক সমিতির সকল সদস্য ছাড়াও বিভিন্নস্তরের বিপুল নারী পুরুষরা অংশ নেন। মানবববন্ধন চলাকালে সেখানে সংক্ষিপ্ত  বক্তব্য বলেন,  সৈয়দপুর  বিউটি পার্লার মালিক সমিতির উপদেষ্টা সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু ও  এম এ পারভেজ লিটন, সংগঠনের সভাপতি তাসলিমা সরকার শিউলি ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর লিপি, নিহত মুক্তার মা জাহেদা খাতুন, বড় ভাই সাইদুল ইসলাম, বোন সুমাইয়া স্নেহা, রেখা খাতুন, নারী উদ্যোক্তা আহমেদা ইয়াসমিন ইলা, সমাজকর্মী মোস্তাফিজা হোসেন শিলা, ফারহানা ইসলাম লুই, তাসনিমা সরকার, আফেরোজা আক্তার সাথী, বিথী নুর, নাসরিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুক্তার হাতে বিয়ের মেহেদির রং না মুছতে তাকে লাশ হতে হয়েছে। একজন নববধূকে এভাবে পাষন্ড স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন গলাটিপে নৃসংশভাবে হত্যা করবে এটি কোনভাবে মেনে নেয়ার ঘটনা নয়। এ হত্যাকান্ডে শুধুমাত্র মুক্তার স্বামী জড়িত নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। আর এজন্য মুক্তার শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের  যথাযথ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় আগামীতে সৈয়দপুর বিউটি পার্লার মালিক সমিতির ব্যানারে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, সৈয়দপুর শহরের কুন্দল পশ্চিমপাড়ার মৃত. মোস্তফা কামাল ও জাহেদা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তা (২৪)। সে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা আধুনিক সুপারমার্কেটের ড্রিম বিউটি পার্লারের একজন কর্মী ছিলেন। গত ৪ জানুয়ারি  স্বামী বাড়িতে তাকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শহরের কাজীপাড়া মৃত. বাবুল হোসেনের ছেলে মো. রানার সঙ্গে ঘটনার ১৪/১৫ দিন আগে পারিবারিক বিয়ে হয় মুক্তার। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মুক্তার স্বামী মো. রানার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার দিনই মুক্তার স্বামীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করলে পরিবারের অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সুন্দরগঞ্জে প্রস্তুতি মূলক সভা

বিউটি পার্লার কর্মী মুক্তার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

Update Time : ০৭:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

সৈয়দপুরে বিউটি পার্লার কর্মী মুক্তার (২৪) হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানবববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ওই মানবন্ধন করা হয়। সৈয়দপুর বিউটি পার্লার মালিক সমিতি ও সচেতন নারী সমাজের ব্যানারে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১ টা ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সৈয়দপুর বিউটি পার্লার মালিক সমিতির সকল সদস্য ছাড়াও বিভিন্নস্তরের বিপুল নারী পুরুষরা অংশ নেন। মানবববন্ধন চলাকালে সেখানে সংক্ষিপ্ত  বক্তব্য বলেন,  সৈয়দপুর  বিউটি পার্লার মালিক সমিতির উপদেষ্টা সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু ও  এম এ পারভেজ লিটন, সংগঠনের সভাপতি তাসলিমা সরকার শিউলি ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর লিপি, নিহত মুক্তার মা জাহেদা খাতুন, বড় ভাই সাইদুল ইসলাম, বোন সুমাইয়া স্নেহা, রেখা খাতুন, নারী উদ্যোক্তা আহমেদা ইয়াসমিন ইলা, সমাজকর্মী মোস্তাফিজা হোসেন শিলা, ফারহানা ইসলাম লুই, তাসনিমা সরকার, আফেরোজা আক্তার সাথী, বিথী নুর, নাসরিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মুক্তার হাতে বিয়ের মেহেদির রং না মুছতে তাকে লাশ হতে হয়েছে। একজন নববধূকে এভাবে পাষন্ড স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন গলাটিপে নৃসংশভাবে হত্যা করবে এটি কোনভাবে মেনে নেয়ার ঘটনা নয়। এ হত্যাকান্ডে শুধুমাত্র মুক্তার স্বামী জড়িত নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। আর এজন্য মুক্তার শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের  যথাযথ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় আগামীতে সৈয়দপুর বিউটি পার্লার মালিক সমিতির ব্যানারে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, সৈয়দপুর শহরের কুন্দল পশ্চিমপাড়ার মৃত. মোস্তফা কামাল ও জাহেদা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তা (২৪)। সে শহরের সৈয়দপুর প্লাজা আধুনিক সুপারমার্কেটের ড্রিম বিউটি পার্লারের একজন কর্মী ছিলেন। গত ৪ জানুয়ারি  স্বামী বাড়িতে তাকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শহরের কাজীপাড়া মৃত. বাবুল হোসেনের ছেলে মো. রানার সঙ্গে ঘটনার ১৪/১৫ দিন আগে পারিবারিক বিয়ে হয় মুক্তার। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মুক্তার স্বামী মো. রানার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার দিনই মুক্তার স্বামীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করলে পরিবারের অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করেননি।