Dhaka ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস

 যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অবশেষে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।বুধবার উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে বিবিসিকে জানায়, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্তততায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন। পরে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছে, গাজা শহর ও দক্ষিণ গাজার লাখো মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে যাবে। এ সময়ের মধ্যে রাফা ক্রসিং দিয়ে তাবু, খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। এছাড়াও ৫০টি জ্বালানিসহ গাড়ি প্রবেশ করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সরকার বা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় প্রস্তুত করা খসড়াটি তাদের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিন পর্যায়ের পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ছয় সপ্তাহের মধ্যে হামাসের হাতে আটক থাকা ৩৩ বন্দিকে নিয়মিত বিরতিতে ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা দুই সপ্তাহ পর শুরু হবে। তাতে বাকি বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় থাকবে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে গাজার পুনর্গঠন করা হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। যেসব বন্দির মরদেহ অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে।

এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হামাসের সম্মতি পাওয়ার পরই চুক্তিটি বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। রবিবার থেকে এটি কার্যকর হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দিনই প্রথম দফায় বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার কথা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ক্রেতাদের জন্য পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ নিয়ে এলো অনার বাংলাদেশ

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস

Update Time : ০৮:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

 যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অবশেষে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।বুধবার উভয় দেশই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে বিবিসিকে জানায়, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্তততায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন। পরে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছে, গাজা শহর ও দক্ষিণ গাজার লাখো মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে যাবে। এ সময়ের মধ্যে রাফা ক্রসিং দিয়ে তাবু, খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। এছাড়াও ৫০টি জ্বালানিসহ গাড়ি প্রবেশ করবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সরকার বা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় প্রস্তুত করা খসড়াটি তাদের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিন পর্যায়ের পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ছয় সপ্তাহের মধ্যে হামাসের হাতে আটক থাকা ৩৩ বন্দিকে নিয়মিত বিরতিতে ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা দুই সপ্তাহ পর শুরু হবে। তাতে বাকি বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় থাকবে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে গাজার পুনর্গঠন করা হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। যেসব বন্দির মরদেহ অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলো ফেরত দেওয়া হবে।

এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হামাসের সম্মতি পাওয়ার পরই চুক্তিটি বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। রবিবার থেকে এটি কার্যকর হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দিনই প্রথম দফায় বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার কথা।