অপেন সিন্ডিকেট, দেখার কেউ নেই, তারাই দেশের সেরা। তবে ধূমপান কারীদের কাছে। ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টবেকো নামের কোম্পানির গোল্ডলিফ, বেনসন ও ডারবী ২০ ফলের সিগারেটের প্রতি প্যাকেটে ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়তি নিচ্ছে। বাজারে বেশির ভাগ ছোটবড় মুদি দোকানি সহ ছোট পানের দোকানে অপেন বাড়তি টাকা নিচ্ছে কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা। বর্তমান সরকার সিগারেটের প্রতি বাড়তি করের ঘোষণা দেয়া মাত্রই কোম্পানি টি বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিটি সিগারেটের দোকানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে মেমো কেটে দিচ্ছেন। এতো অপেন প্রমান সাপেক্ষে দেশে প্রথম বারের মত কোন কোম্পানি এমন ঘটনার জন্ম দিয়ে প্রচুর মুনাফা আদায় করছে বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন । কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা বরাবরের মতই নির্বিকার। এই কোম্পানির সিগারেট সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সেবন করে থাকে। দোকানিরাও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতি সিগারেটে ২ থেকে ৩ টাকা করে ভোক্তার কাছে বিক্রি করছে। প্রতি বছরের শুরু থেকে গোল্ডলিফ, বেনসন নামের কোম্পানি টি সিন্ডিকেট করে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু সরকার বাড়তি দামের কর থেকে চরম ভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। সিগারেটের সিন্ডিকেটের ব্যাপারে দায়িত্ব শীল সবাই উদাসীন। তাহলে কি সংশ্লিষ্ট দের ম্যানেজ করেই স্বৈরাচারী কায়দায় বাড়তি দাম এমন প্রশ্ন ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী ও সেবন কারীদের।
সিগারেট কোম্পানির রাজশাহীর তানোরে দায়িত্বে থাকা আওয়ালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাব জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া মেমোতে টাকা উল্লেখ থাকত না। আমাদের ও বিক্রয় প্রতিনিধির কোন কিছুই করার নেই। সরকারের কোন দপ্তর কি অনুমতি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, না দিলে তো মেমো করা যেত না।
তবে রাজশাহী ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাসের সাথে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে মোবাইলে যোগাযোগ করে সিগারেটের বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কোনভাবেই বাড়তি দাম নেয়া যাবেনা। এটা আইনগত অপরাধ। কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলা হলে তিনি বলেন অভিযান অব্যহত আছে।
এই কর্মতার কথায় চরম হতাশা ফুটে উঠেছে। যেন তারা সিন্ডিকেটের কাছে চরম অসহায়।
জানা গেছে, সরকারের কর ঘোষণার আগে বা এমআরপি বেনসন ২০ ফলের প্রতি প্যাকেট মূল্য ছিল ৩২৪ টাকা, এখন বেড়ে ৩৬৯ টাকা ৯৮ পয়সা, গোল্ডলিফের এমআর পি আছে ২৪০ টাকা এখন বেড়ে নেয়া হচ্ছে ২৭৯ টাকা ৯৮ পয়সা, ডারবি নির্ধারিত মূল্য ৫২ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৭৩ টাকা, স্টার ১০ স্টিকের এক প্যাকেট নির্ধারিত মূল্য ছিল ৬৫ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ৯০ টাকা।
বেনসন সেবন কারী মাহাম, রানা সহ অনেকে জানান, আগে এক ফল সিগারেটের দাম নিত ১৮ টাকা। এখন ২০ থেকে ২১ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।
গোল্ডলিফ সেবন কারী, বাবু, সুবাস, নান্নুসহ অনেকে জানান, গোল্ডলিফ কোম্পানি বছরের প্রথম থেকেই সিন্ডিকেট করে প্রকাশ্যে বাড়তি দাম নেই। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার করানে বছরের পর বছর ধরে সিন্ডিকেট করে দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে। আর সরকার প্রচুর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ডারবি সিগারেট সেবনকারী আইয়ুব, সানী জানান, আগে ৬ টাকা পিচ পাওয়া যেত। এখন বেড়ে ৮ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম জানান, ভোক্তা অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি এমনটি হয়ে থাকে প্রমান হলে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।