কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গৃহায়ণ ও গনপুর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হামিদুর রহমান খান।এসময় কউকের কাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আবাসিক প্রকল্প-১ এ সমস্যার কোন লিংকেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ডিপিপিতে যেটুকু জায়গায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা তা না করে ডিপিপির বাইরে জমি কেনা, আরও জমির কথা বলা-এভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়না। এখানে কার ব্যর্থতা তা দেখে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।ডিপিপি খরচের চেয়ে বেশি খরচ ধরা হয়েছে এবং সেই ক্যালকুলেশন মেলাতে গিয়ে কারচুপি করা হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন সচিব মো: হামিদুর রহমান খান।
প্রকল্পের স্থান পরিবর্তন হলেও নতুন ফিজিবিলিটি স্টাডি না করে আগের স্থানের ফিজিবিলিটি স্টাডি দেয়ার কি দরকার ছিল?-এমন প্রশ্নও তুলেন সচিব।মাস্টারপ্ল্যান প্রনয়ন, ক্যাবল কার স্থাপনসহ নানা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে শনিবার সকালে মতবিনিময় করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।গত শনিবার সকাল সোয়া ৯ টায় কউক সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।সভায় কউকের গৃহিত উদ্যোগ, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অব:) মো: নুরুল আবছার।এসময় শিল্প উপদেষ্টা কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না রাখলেও কথা বলেন সচিব মো: হামিদুর রহমান খান। এসময় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কউক কার্যালয়ে যারা কাজ করেন তারা ফাইল নোট লিখতেও জানেননা। ফাইল তৈরি করতে জানেন না।সভা শেষ গৃহায়ণ ও গনপুর্ত উপদেষ্টা শহরের কলাতলীতে কউকের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। কক্সবাজার থেকে মহেশখালী পর্যন্ত ক্যাবল কার স্থাপন প্রকল্পের স্থানও পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।