অবশেষে কার্যকর হয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। বেশ কিছুটা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার আগে এই চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য বন্দিদের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রথম ধাপে যে তিন নারী মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তাদের পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
তার আগে প্রথম ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এমন তিন জিম্মির তালিকা ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। রোববার (১৯ জানুয়ারি) ইসরায়েল গণমাধ্যমের বরাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে মুক্তি দেওয়া হবে এমন বন্দিদের নামের তালিকা ইসরায়েল পেয়েছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে এমন তিনি নারী জিম্মির নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন- রোমি গোনেন, এমিলি দামারি ও ডোরন স্টেইনব্রেচার।
এর আগে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী যেকোনো মুহূর্তে জিম্মিদের তালিকা দেওয়া হবে। কারিগরি ত্রুটি’ ও অব্যাহত বোমা হামলার কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বহুল প্রত্যাশিত গাজা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হামাস জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না বলে জানায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, যতক্ষণ না হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করতে পারছে, ততক্ষণ গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।