Dhaka ০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিডিআর বিদ্রোহ: ২ শতাধিক আসামির জামিন

দুই শতাধিক বিডিআর জওয়ান বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন, পিলখানা হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে। এতে তাদের কারামুক্তিতে আর বাধা রইল না। তবে যাদের খালাসের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল রয়েছে ও যারা দণ্ডিত, তারা জামিন পাবেন না।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর জামিনের খবর উচ্ছ্বসিত দুই শতাধিক বিডিআর সদস্যের পরিবার। শুধু বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন থাকায় হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ বছর কারাভোগ করতে হয় আসামিদের। এর মধ্য দিয়ে অবসান হল বিশেষ একটি মামলার বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার।

জুলাই বিপ্লবের পর নানা কারণে পাঁচ দফা পিছিয়ে দেওয়া হয় জামিন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি। এরপর বিডিআর সদস্যদের মুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ রাজপথ অবরোধ করে জামিনের জন্য আল্টিমেটাম দেন স্বজনরা।

এরই মাঝে রোববার সকালে শুরু হয় বিস্ফোরক মামলার বিচার। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ ইউসুফ ইকবাল সাক্ষ্য দেন। এ সময় ওই দিনের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে জামিনের শুনানি শেষে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের জামিন দেন বিচারক।

দুশোর অধিক আসামি জামিন হওয়ায় সন্তোষ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সাজা ভোগ করা আসামিদের জামিনের বিষয়ে পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করবেন আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বিডিআর বিদ্রোহ: ২ শতাধিক আসামির জামিন

Update Time : ০৬:১০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

দুই শতাধিক বিডিআর জওয়ান বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন, পিলখানা হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে। এতে তাদের কারামুক্তিতে আর বাধা রইল না। তবে যাদের খালাসের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল রয়েছে ও যারা দণ্ডিত, তারা জামিন পাবেন না।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।

বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর জামিনের খবর উচ্ছ্বসিত দুই শতাধিক বিডিআর সদস্যের পরিবার। শুধু বিস্ফোরক মামলাটি বিচারাধীন থাকায় হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ বছর কারাভোগ করতে হয় আসামিদের। এর মধ্য দিয়ে অবসান হল বিশেষ একটি মামলার বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার।

জুলাই বিপ্লবের পর নানা কারণে পাঁচ দফা পিছিয়ে দেওয়া হয় জামিন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি। এরপর বিডিআর সদস্যদের মুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ রাজপথ অবরোধ করে জামিনের জন্য আল্টিমেটাম দেন স্বজনরা।

এরই মাঝে রোববার সকালে শুরু হয় বিস্ফোরক মামলার বিচার। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ ইউসুফ ইকবাল সাক্ষ্য দেন। এ সময় ওই দিনের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে জামিনের শুনানি শেষে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিদের জামিন দেন বিচারক।

দুশোর অধিক আসামি জামিন হওয়ায় সন্তোষ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সাজা ভোগ করা আসামিদের জামিনের বিষয়ে পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করবেন আদালত।