Dhaka ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে চোরাই গরু জবাই, কসাইসহ আটক ৩ উধাও চোর ছালাম

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি জালচিরা বাঁধের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা টু রৌমারী মহাসড়কের পাশে একটি কসাইয়ের দোকানে চোরাই গরু জবাই করার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকা জুড়েই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে গরু চোর ধরতে প্রায় ৫ শতাধিক উত্তেজনা মানুষ চোরের বাড়িতে উপস্তিত হয়। এসময় চোর আব্দুস ছালাম টের পেয়ে স্বামী স্ত্রী দুজন দেশীয় আস্ত্র বাগি দা দিয়ে বাড়িতে আশা লোকজনকে উল্টো হুমকী দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অনেকের। এই খবরে রাজিবপুর থাানা পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেও উত্তেজিত জনসাধারণকে নিয়ন্ত্র করতে হিমসিমে পরে পুলিশ। এদিকে চোর আব্দুস ছালাম পুলিশ ও উত্তেজিত জনসাধাণকে ধুলো দিয়ে বেল্ডিংয়ের একফিট শুরঙ্গ দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। অবশেষে রাজিবপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা এসে এলাকাবাসিকে শান্ত করতে সক্ষম হয়। এই চুরির  ঘটনার সূত্র ধরে জানা গেছে  গরুর মালিক জাউনিয়ারচর কাচানীপাড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদের ছেলে আলম মিয়া, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং দোকানের সামনে থাকা গরুর চামড়া দেখে নিশ্চিত হন যে গরুটি তার। পরে  স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় মালিক আলম মিয়া অভিযুক্ত কসাইসহ তিনজনকে আটক করেন। আটককৃত কসাই বলেন, আমি গরু চুরি করি নাই, আমি শিবেরডাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের ভাইটা মজিবরের ছেলে আব্দুস সালামের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এঘটনায়

আটককৃতরা হলেন মরিচাকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সুলতান মাহমুদ, আলহাজ্ব আজিজুল হকের ছেলে বাবুল আক্তার, এবং টাঙ্গালীয়াপাড়া বৌ বাজার গ্রামের রাজু মিয়াসহ তিনজন।

এ বিষয়ে খবর পেয়ে রাজিবপুর থানা পুলিশ দূরত্ব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে উদ্ধার করা চোরাই গরুর ৯৫ কেজি মাংস। কসাই আটকের ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি উদ্ধারকৃত মাংসের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেন ৬২ হাজার টাকা। এই অর্থ অভিযুক্তদের কাছ থেকে নিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের মাধ্যমে থানায় জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

উদ্ধারকৃত অর্থ পরবর্তীতে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন। এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে রাজিবপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কসাইদের এ ধরনের কর্মকান্ডের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে চোরাই গরু জবাই, কসাইসহ আটক ৩ উধাও চোর ছালাম

Update Time : ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি জালচিরা বাঁধের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা টু রৌমারী মহাসড়কের পাশে একটি কসাইয়ের দোকানে চোরাই গরু জবাই করার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকা জুড়েই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে গরু চোর ধরতে প্রায় ৫ শতাধিক উত্তেজনা মানুষ চোরের বাড়িতে উপস্তিত হয়। এসময় চোর আব্দুস ছালাম টের পেয়ে স্বামী স্ত্রী দুজন দেশীয় আস্ত্র বাগি দা দিয়ে বাড়িতে আশা লোকজনকে উল্টো হুমকী দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অনেকের। এই খবরে রাজিবপুর থাানা পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেও উত্তেজিত জনসাধারণকে নিয়ন্ত্র করতে হিমসিমে পরে পুলিশ। এদিকে চোর আব্দুস ছালাম পুলিশ ও উত্তেজিত জনসাধাণকে ধুলো দিয়ে বেল্ডিংয়ের একফিট শুরঙ্গ দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। অবশেষে রাজিবপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা এসে এলাকাবাসিকে শান্ত করতে সক্ষম হয়। এই চুরির  ঘটনার সূত্র ধরে জানা গেছে  গরুর মালিক জাউনিয়ারচর কাচানীপাড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদের ছেলে আলম মিয়া, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং দোকানের সামনে থাকা গরুর চামড়া দেখে নিশ্চিত হন যে গরুটি তার। পরে  স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় মালিক আলম মিয়া অভিযুক্ত কসাইসহ তিনজনকে আটক করেন। আটককৃত কসাই বলেন, আমি গরু চুরি করি নাই, আমি শিবেরডাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের ভাইটা মজিবরের ছেলে আব্দুস সালামের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এঘটনায়

আটককৃতরা হলেন মরিচাকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সুলতান মাহমুদ, আলহাজ্ব আজিজুল হকের ছেলে বাবুল আক্তার, এবং টাঙ্গালীয়াপাড়া বৌ বাজার গ্রামের রাজু মিয়াসহ তিনজন।

এ বিষয়ে খবর পেয়ে রাজিবপুর থানা পুলিশ দূরত্ব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে উদ্ধার করা চোরাই গরুর ৯৫ কেজি মাংস। কসাই আটকের ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি উদ্ধারকৃত মাংসের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেন ৬২ হাজার টাকা। এই অর্থ অভিযুক্তদের কাছ থেকে নিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের মাধ্যমে থানায় জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

উদ্ধারকৃত অর্থ পরবর্তীতে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্থান্তর করা হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন। এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে রাজিবপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কসাইদের এ ধরনের কর্মকান্ডের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।