অবশেষে আগামী পহেলা ফেব্রয়ারি থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে নতুন ট্রেন সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস। নতুন করে এই দু’টো নিয়মিত ট্রেন চালুর বিষয়টি গত সোমবার সকালে এক পত্র মারফত কক্সবাজারকে স্টেশনকে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম চীফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডন্ট (পূর্ব) এর কার্যালয়। কক্সবাজারের স্টেশন মাস্টার মো: গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ১৬ বগির ট্রেনের একেকটিতে আসন থাকবে ৭৪৩টি করে। মূলতঃ বর্তমানে এই রুটে চলাচলরত অস্থায়ী বিশেষ ট্রেনটি এখন থেকে নিয়মিত চলবে। এর বাইরে নতুন আরেকটি ট্রেন যুক্ত হলো। সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে।এদিকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কামাল আখতার হোসেনের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ট্রেন দুটি চলাচলের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।সময়সূচি অনুসারে, সৈকত এক্সপ্রেস প্রতিদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে বেলা ২টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। চট্টগ্রামে আসার পর প্রবাল এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে।ট্রেন দুটির মধ্যে ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ বিরতি দেবে ৮টি স্টেশনে; যার মধ্যে রয়েছে- ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা ও রামু। আর ‘প্রবাল এক্সপ্রেস’ থামবে ১০টি স্টেশনে; এর মধ্যে আছে– ষোলশহর, গুমদন্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু। এ দুটি ট্রেন বন্ধ থাকবে প্রতি সোমবার।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ট্রেন দুটি পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত অনুমোদনের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান জনবল দিয়ে এই রুটে নতুন দুই জোড়া ট্রেন চালাতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসে নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২০ এর ২(২.০) ধারার আলোকে রেলওয়ের মার্কেটিং শাখাকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ক্যাটারিং সেবা দিতে অনুমতি দেওয়া হলো। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ক্যাটারিং সেবা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ ও ট্রেনগুলো দ্রুত চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। তা–ও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল শুরু থেকেই।