কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, বলেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দেয়া প্রস্তাব ও তা বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় নিয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের (আরএফইডি) সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কাউকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে নয়; নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন করা হয়নি বরং এ সংস্থার ক্ষমতায়নে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
ফেরারি আসামি, বিচারিক আদালতে দোষী হলেই অযোগ্য, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত বা অর্থপাচারকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না-এ সময়ে এসব বিতর্কিত কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, হত্যাকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এটা জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহিতায় আনতে গিয়ে তাদের ক্ষমতা খর্ব হবে না এমন মত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ইসিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা গেলেই কেবল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের তিন নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে না। যারা দেড় হাজার মানুষ হত্যাকারী, গুমকারী, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তারা আবার দেশ শাসন করুক তা অধিকাংশ মানুষ চায় না।
সেজন্য তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে আরেক অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, দেড় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র। চোখ এবং আঙ্গুলে ক্ষতিগ্রস্তদের ইসির নির্দেশনায় দেয়া হবে এনআইডি। নতুন ভোটার ছাড়াও স্মার্ট কার্ড এবং ভুল সংশোধনের সুযোগও পাবেন আহতরা। এছাড়াও সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পাবেন এ সেবা।