ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দ্যেশে আসা চারটি কার্গো জাহাজ নাফ নদীতে তল্লাশীর নামে জিম্মি করেছিল মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মি; এগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় চারদিন পর ছেড়ে দেয়া দুটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছালেও এখনো হেফাজতে একটি জাহাজ।এর আগে শনিবার প্রথম দফায় জিম্মি থাকা একটি জাহাজ ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি।সোমবার সকাল ১১ টায় আরাকান আর্মি কর্তৃক ছেড়ে দেওয়া দুটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটি ঘাটে পৌঁছায় বলে জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর।তিনি বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে নাফ নদীর মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ইয়াঙ্গুন থেকে আসা পণ্যবাহী দুটি কার্গো জাহাজ বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির সদস্যরা তল্লাশীর নামে জিম্মি করে। পরদিন একই এলাকায় আরও দুইটি জাহাজ জিম্মি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সদস্যরা। শনিবার জিন্মি থাকা জাহাজগুলোর মধ্যে প্রথম দফায় ছেড়ে দেওয়া একটি টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছালেও অপর তিনটি তাদের হেফাজতে ছিল।সোমবার সকাল ১১ টায় দ্বিতীয় দফায় ছেড়ে দেওয়া দুইটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছালেও এখনো অপরটি আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি রয়েছে বলে জানান বন্দরটির ব্যবসায়ীদের নেতা এহতেশামুল হক।বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও আতঙ্ক এখনো কাটেনি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে। আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি হওয়া জাহাজগুলোতে ৫০ হাজার বস্তা শুটকি, সুপারী, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মোঃ আয়াছ, এমএ হাসেম, মোঃ ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের মালামাল রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ২৩ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে সরকার ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। গেল বছর (২০২৪-২৫) অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার মেট্রিক টন আমদানি হয়। যার ফলে সরকার ৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের প্রভাবে গত বছরের তুলনায় ১৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে জানান তিনি।অন্যদিকে গত দুই অর্থ বছরে যেসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমান সিমেন্ট বলে তথ্য দিয়ে শুল্ক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, গত ২৩-২৪ অর্থ বছরের সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে ২৩৬ মেট্রিক টন। যার মূল্য ১ কোটি ১৩ লাখের অধিক টাকা মূল্যের সিমেন্ট। এছাড়া চলতি ২৪-২৫ অর্থ বছরে ২৯১ মেট্রিন টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। মিয়ানমারে মংডু শহর আরকান আর্মি দখলে নেওয়ার পর আমাদের দেশে পণ্যবাহী জাহাজ গুলো আসে।