গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার সকালে একটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে অপর কারখানার শ্রমিকরা। এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় নিরাপত্তা কর্মীসহ বেশ কয়েক শ্রমিক আহত হয়েছেন। ওই কারখানাসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর আশপাশের কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী, কারখানার শ্রমিক-কতৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক কামরাঙ্গীরচালা এলাকায় ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড নামে কারখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে পাশে এটিএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা নামে অপর একটি কারখানা শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে যান। কিন্তু তারা কাজে যোগদান না করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাশের লেভেন্ডার কারখানায় হামলা চালায়। ওই কারখানার প্রধান গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে হামলাকারী শ্রমিকরা। হামলা চালিয়ে ওই কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের গ্লাস, ১০/১২টি গাড়ি, বেশ কিছু মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, যানবাহনসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল ভাংচুর করে।
এসময় তাদের হামলায় ওই কারখানার নিরাপত্তা কর্মীসহ বেশ কিছু শ্রমিক আহত হন। এতে ওই কারখানার শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
হামলার শিকার কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ছুরিকাঘাতে একটি কারখানার শ্রমিক আহতের প্রতিবাদ ও ছিনতাইকারীদের গেপ্তারের দাবীতে গত মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। তারা মহাসড়ক অবরোধ রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকায় আমাদের কারখানার শ্রমিকরা বের হয়নি। এখানকার শ্রমিকরা বের না হওয়ায় ওই সময় আমাদের কারখানার নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হামলা চালিয়ে গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ কারখানায় ব্যাপক ভাংচুর করে হামলাকারীরা। এতে নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন এবং কারখানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সময় মতো ঘটনাস্থলে না গেলে আরো অনেক বেশি ক্ষতি হতো। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।