ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে কাঁপছে সৈয়দপুরের জনজীবনে। এই জনপদে প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে, মাঘের জারে বাঘ কাঁদে। বাঘ কাঁদে কিনা জনা গেলেও ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের ঠেলায় কাঁপছেন। মাঘের হওয়া, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত এ অঞ্চলের মানুষের জীবন। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কষ্টে দিন যাপন করছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একবারেই কম। এমনকি ভর দুপুরেও সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষেরই কেবল দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রিক্সা চালক মিষ্টার (৫৭) জানান, ঠান্ডাত আর সইতে পারছি না। পেটের জ্বালা মিটাতে বাধ্য হয়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছি।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগামীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সকাল ৬টায় নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) মাত্র ২০০ মিটার। বেলা ১২ টার আগে আকাশ পরিস্কার হচ্ছে না। তিনি বলেন, তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে। এতে করে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। বেলা ১টার পর আকাশ খানিকটা উজ্জ্বল হলে বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ওয়াসিমুল বারী জয় জানান, শীতজনিত রোগে বর্হিবিভাগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।