Dhaka ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশুর রক্ত-বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর এলাকায় প্রতি শুক্রবার ওমরপুর হাটে কেন্দ্রীয় গোরস্থানের রাস্তার পাশেই পশু জবাই করা হয়। জবাই করা গরু, মহিষ, ছাগল, হাঁস ও মুরগীর রক্ত-বর্জ্যের স্তুপ হয়ে আছে সেখানে। রক্ত-বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাশে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এছাড়া দুর্গন্ধের কারণে কেউ মারা গেলে গোরস্থানে মাটি দেওয়া ও কবর জিয়ারত করা দুষ্কার হয়ে পরেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ওমরপুর গ্রামবাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।  সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পশুর ওই রক্ত-বর্জ্যের স্তপের দক্ষিণ পাশে ওমরপুর সরকারি কেন্দ্রীয় গোরস্থান ও ৫০ গজ দূরে পশ্চিম পাশে উপজেলার সবচেয়ে বড় ওমরপুর আশরাফুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসাটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন ও শিক্ষক আছে ১৮ জন।

কথা হয় আশরাফুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে। তারা অভিযোগ করে বলেন, দুর্গন্ধের কারণে আমরা ঠিকমত লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে পারিনা। আমাদের মাদ্রাসার ভিতরে-বাহিরে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধের কারণে আমাদের এখানে থাকাই কঠিন হয়।

ওমরপুর আশরাফুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মুফতি মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, পশুর রক্ত-বর্জ্যের দুর্গন্ধে থাকা খুব কঠিন। বিশেষ করে যখন দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাতাস উঠে তখন মাদ্রাসার ভিতরে থাকা যায় না। দুর্গন্ধের কারণে গোরস্থানে মাটি দেওয়া ও কবরে দোয়া করা কঠিন হয়ে যায়। এর প্রতিকার চেয়ে সবাই মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

ওমরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী মোঃ জোবায়ের আলী বলেন, বর্জ্য অপসরণের প্রতিকার চেয়ে ৪৭ জন মানুষ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ওমরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী দুই চার দিনের মধ্যেই তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ক্রেতাদের জন্য পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ নিয়ে এলো অনার বাংলাদেশ

পশুর রক্ত-বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ

Update Time : ০৫:২০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর এলাকায় প্রতি শুক্রবার ওমরপুর হাটে কেন্দ্রীয় গোরস্থানের রাস্তার পাশেই পশু জবাই করা হয়। জবাই করা গরু, মহিষ, ছাগল, হাঁস ও মুরগীর রক্ত-বর্জ্যের স্তুপ হয়ে আছে সেখানে। রক্ত-বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাশে থাকা মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এছাড়া দুর্গন্ধের কারণে কেউ মারা গেলে গোরস্থানে মাটি দেওয়া ও কবর জিয়ারত করা দুষ্কার হয়ে পরেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ওমরপুর গ্রামবাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।  সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পশুর ওই রক্ত-বর্জ্যের স্তপের দক্ষিণ পাশে ওমরপুর সরকারি কেন্দ্রীয় গোরস্থান ও ৫০ গজ দূরে পশ্চিম পাশে উপজেলার সবচেয়ে বড় ওমরপুর আশরাফুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসাটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন ও শিক্ষক আছে ১৮ জন।

কথা হয় আশরাফুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে। তারা অভিযোগ করে বলেন, দুর্গন্ধের কারণে আমরা ঠিকমত লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে পারিনা। আমাদের মাদ্রাসার ভিতরে-বাহিরে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধের কারণে আমাদের এখানে থাকাই কঠিন হয়।

ওমরপুর আশরাফুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মুফতি মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, পশুর রক্ত-বর্জ্যের দুর্গন্ধে থাকা খুব কঠিন। বিশেষ করে যখন দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাতাস উঠে তখন মাদ্রাসার ভিতরে থাকা যায় না। দুর্গন্ধের কারণে গোরস্থানে মাটি দেওয়া ও কবরে দোয়া করা কঠিন হয়ে যায়। এর প্রতিকার চেয়ে সবাই মিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।

ওমরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী মোঃ জোবায়ের আলী বলেন, বর্জ্য অপসরণের প্রতিকার চেয়ে ৪৭ জন মানুষ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ওমরপুর গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী দুই চার দিনের মধ্যেই তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে।