Dhaka ০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে দুদিন থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা, দুর্ভোগে জনজীবন

oppo_2

সৈয়দপুরে দুদিন থেকে হঠাৎ বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। এ অবস্থায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ চড়ম দুর্ভোগে পড়েছেন। কুয়াশার চাদরে ঢাকা আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে শহর সহ গ্রামীন জনগোষ্ঠীর।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার রাত থেকে সৈয়দপুরে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ভোর থেকে যেভাবে কুয়াশা পড়ছে তাতে সারাদিন সূর্যের দেখা নাও যেতে পারে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন সৈয়দপুরের মানুষ।

শহরের বাংগালী পুর নীজ পাড়ার বাসিন্দা আল কবির বলেন, গত বুধবার থেকে হঠাৎ করে আবার দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। সকাল ১০টা বাজলেও কুয়াশার কারণে ১০ ফুট সামনে কোনো দিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। একদিকে প্রচন্ড শীত, অন্য দিকে পৌরসভার পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরন না করায় শীতে একেবারেই কাবু হয়ে পড়েছেন অসহায় ও ছিন্ন মুল মানুষজন।

প্রাইভেট চালক আব্দুল মুত্তালেব বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

রিকশাচালক বাবলু শেখ বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। বাড়িতে ৬ সদস্যদের সংসার। ঠান্ডার কারনে আয়-রোজগার একেবারেই কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, কুয়াশার কারনে ১০ টা ৪৫ মিনিটে অবতরন করার বিমান বেলা ১ টার পর বিমান বিমানবন্দরে নেমেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এমন অবস্থায় বিমান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলেই বিমান চলাচলে বাধা থাকবে না।

সৈয়দপুর পৌর প্রশাসক নুর- আলম সিদ্দিক বলেন, শীত বেশি হওয়ায় আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছি। তবে অভাবী মানুষের তুলনায় শীত বস্ত্র কম থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেককেই তা দিতে পারছি না।  বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সৈয়দপুরে দুদিন থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা, দুর্ভোগে জনজীবন

Update Time : ০১:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

সৈয়দপুরে দুদিন থেকে হঠাৎ বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। এ অবস্থায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ চড়ম দুর্ভোগে পড়েছেন। কুয়াশার চাদরে ঢাকা আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে শহর সহ গ্রামীন জনগোষ্ঠীর।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার রাত থেকে সৈয়দপুরে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ভোর থেকে যেভাবে কুয়াশা পড়ছে তাতে সারাদিন সূর্যের দেখা নাও যেতে পারে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন সৈয়দপুরের মানুষ।

শহরের বাংগালী পুর নীজ পাড়ার বাসিন্দা আল কবির বলেন, গত বুধবার থেকে হঠাৎ করে আবার দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। সকাল ১০টা বাজলেও কুয়াশার কারণে ১০ ফুট সামনে কোনো দিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। একদিকে প্রচন্ড শীত, অন্য দিকে পৌরসভার পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরন না করায় শীতে একেবারেই কাবু হয়ে পড়েছেন অসহায় ও ছিন্ন মুল মানুষজন।

প্রাইভেট চালক আব্দুল মুত্তালেব বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

রিকশাচালক বাবলু শেখ বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। বাড়িতে ৬ সদস্যদের সংসার। ঠান্ডার কারনে আয়-রোজগার একেবারেই কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, কুয়াশার কারনে ১০ টা ৪৫ মিনিটে অবতরন করার বিমান বেলা ১ টার পর বিমান বিমানবন্দরে নেমেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এমন অবস্থায় বিমান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলেই বিমান চলাচলে বাধা থাকবে না।

সৈয়দপুর পৌর প্রশাসক নুর- আলম সিদ্দিক বলেন, শীত বেশি হওয়ায় আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছি। তবে অভাবী মানুষের তুলনায় শীত বস্ত্র কম থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেককেই তা দিতে পারছি না।  বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।