দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এই ভরা মৌসুমে চাল আদানি হলেও খুচরা বাজারে কমছে না চালের দাম। প্রকার ভেদে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ডলারে মূল্য বেশি ভারতের বাজারে চালের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। শুল্কমুক্ত ভাবে হিলি স্থলবন্দরে ৪১০ ডলারে চাল আমদানি হচ্ছে। চাল আমদানির সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে
তবে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট পরিমান এলসি রয়েছে ভারতে। এদিকে ১২ নভেম্ব থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪৬৯ ভারতীয় ট্রাকে ১লাখ ৩৬৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে।
ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর জেলা। চলতি বছরে এই জেলাতে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। জেলাতে প্রায় আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ। চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ভারত থেকে শুল্ক মুক্ত ভাবে চাল আমদানি করছেন। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে, তবুও কমছে না চালের দাম।
চাল বিক্রেতা পলাশ কুমার বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা। বর্তমানে আঠাস জাতের চাল কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, স্বম্পা কাটারী কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৭২ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, রতœা আতব কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, স্বর্না ২ টাকা বেড়ে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সীমান্ত অঞ্চলে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় চালের মূল্য কমছে না বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
আমদানি কারক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমদানিকারকদের মতে, সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করায়, ভারতীয় রফতানি কারকেরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমদানিকৃত চাল কম দামে বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকত শফিউল ইসলাম জানান, শুল্কমুক্তভাবে হিলি স্থলবন্দরে ৪১০ ডলারে চাল আমদানি হচ্ছে। ১২ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে, ২৪৬৯ ভারতীয় ট্রাকে ১লাখ ৩৬৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে।