জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যগত একটা সম্পর্ক রয়েছে। চীন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এখানে এসেছেন। তারা এখানকার সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। আবার এই অঞ্চল থেকেও জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা তাদের আরো জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য চায়না সফর করেছেন। সেখান থেকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ভাষা এই সমস্ত বিষয় তারা উৎকর্ষ সাধন করে এসেছেন। দুনিয়ায় ভাষার দিক থেকে যে সমস্ত জাতি খুবই কাছাকাছি তাদের মধ্যে অন্যতম চীন। তাদের মনের আদান প্রদান খুবই চমৎকার। আমরা চাই চীনের সাথে আমাদের ভাষাগত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ হোক। তাহলে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন আরো সুদৃঢ হবে। চায়নার সরকার এরই মধ্যে কল্যানমূলক কাজের পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ওয়ামীর স্থায়ী ক্যাম্পে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। লং লীভ ফ্রেন্ডশীপ এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সম্মানীত রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন। এছাড়াও চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘চায়নার মান্যবর রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমরা আহবান জানাতে চাই, বিশাল একটি দেশ চায়না আপনারা বিভিন্ন পলিটিক্যাল পার্টিকে সেখানে সম্মানিত করছেন দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার পাশাপাশি সাংবাদিক মহল বুদ্ধিজীবী শিক্ষাবিদ যারা তাদেরকেও আপনারকেও আপনারা এই সুযোগটা বেশি বেশি করে দিবেন। তাহলে সমাজ বির্নিমানে তারা আরো অর্থকরি ভূমিকা রাখবেন। আমরা মিলেমিশে হাতে হাতধরে পাশাপাশি থেকে প্রিয় বাংলাদেশকে সবাই মিলে ভালোবাসবো।
তিনি বলেন, চাইনিস ভাষা শিক্ষার একটা উচ্চতর একাডেমি এখানে গড়ে তুলবেন। যাতে করে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন চায়নার সাথে আরো বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। আজ বিশ্বে যে কয়টি দেশে বিজ্ঞান প্রকৌশলে একেবারেই সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে চায়না তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অতএব চায়নার কাছ থেকে আমাদের পাওয়ার এবং জানার অনেক কিছু আছে। আজকে যে মহত কাজের জন্য চায়না রিপালিকের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদুত এবং তার সহকার্মীরা এখানে এসেছেন আমরা বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে তাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে আমাদের এই সহযোগিতার যে অভিযাত্রা শুরু হলো এটি দিন দিন আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠানস্থলে পৌছে চীনা রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে ওয়ামী স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পরে শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এক হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি করে ফুড প্যাকেট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।