সৈয়দপুরে পাঁচদিন ধরে ভালো ভাবে সূর্যের দেখা মিলছে না। ভরা দুপুরে মাঝে মধ্যে সুর্যের দেখা মিললেও মুহূর্তেই আবার হারিয়ে যাচ্ছে ঘন কুয়াশায়। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সৈয়দপুরের জনপদ। বিপাকে পড়েছেন বস্তিতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষ।রবিবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি কুয়াশাও তীব্র আকার ধারন করতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।
কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলু খেত নিয়ে ক্ষতির সম্ভাবণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কৃষকরা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে আলুর ক্ষেত বা বীজ তলার যত্ন নিলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে না বলে জানান তিনি।এদিকে তীব্র শীতে কাজ পাচ্ছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকে তীব্র এই শীতে কাজেও যেতে পারছেন না। জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউই।সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের পোড়ার হাট গ্রামের বাসিন্দা মরিয়ম বিবি বলেন বাবারে বর্তমান সরকার নাকি হেলিকপ্টারত করি গরীব মাইষক কম্বল দিয়া বেরায়ছে, কিন্তুক হামরা যে ঠান্ডাত মরিছি,সেটা দ্যাখে না।তিনি বলেন, মোর বয়স হয়ছে ৬০ বৎসর।
এই বয়সে কতুলা চেয়ারম্যান মেম্বার আইল আর গেইল,কিন্তুক কাহোই একটা চাউলের ছিলিপ ও কম্বল দেইল না।উপজেলার বাংগালী পুর ইউনিয়ন এর কদমতলি বাজার সংলগ্ন আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ফাঁকা জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে আবাসনটি।এখানে হিমেল হাওয়ার সাথে প্রচন্ড শীত।একটা সরকারী কর্মকর্তা বা চেয়ারম্যান মেম্বারকে দেখলাম না যে কেউ একটা কম্বল দিলো। তিনি বলেন, শুনা যায় বর্তমান সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষদের শীত বস্ত্র বিতরন করছেন কিন্তু তিনি কাদের শীত বস্ত্র বিতরন করছেন তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে।