নওগাঁয় মাঘের শুরুতেই শুরু হয়েছে তীব্র শীত। গত কয়েক দিন থেকে বেড়েছে শীতের দাপট। গত তিন দিন সূর্যের দেখা না মিললেও আজ সকাল থেকে সূর্য উঠেছে। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর জনজীবন। আজ এ জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৮দশমিক ৬ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। সেই সাথে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানান, গত তিন দিন ধরেই কুয়াশার আড়ালে ঢাকা ছিল সূর্য। আজ সকাল সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা যেন আরও বেড়েছে। শনিবার রাত ও রোববার সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কাটলেও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। এছাড়া শীতের মধ্যে জীবিকার তাগিদে অনেকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হলেও তাদের পড়তে হচ্ছেও বিপাকে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে ৭০ হাজার শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মনির আলী আকন্দ বলেন, চলতি শীতে তুলনামূলক ভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের অনেক বেশি নিউমেনিয়া ও কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই শীতে তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বদলগাছীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। সে হিসাবে নওগাঁয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।